তবে, তিনি সংযুক্ত মোর্চা নয়, শুধুমাত্র সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন বলে জানা গিয়েছে। এমনটাই সিপিএম সূত্রে খবর। অপরদিকে, কংগ্রেসও জানিয়ে দিয়েছে, ভবানীপুরে প্রচারে নামবে না তাঁরা। যদিও মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে সিপিএম-ই ভবানীপুরে লড়াই করবে৷ রাতে কংগ্রেস নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর বুধবার প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দিল সিপিএম।
advertisement
বুধবার সকালে CPIM রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে খবর। ভবানীপুর ছাড়া জঙ্গিপুরে বামেদের প্রার্থী আরএসপি প্রার্থী জানে আলম মিঞা ও সামসেরগঞ্জের সিপিআইএম প্রার্থী মহঃ মোদাসসার হোসেন। সিপিএম সূত্রে খবর, ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য শ্রীজীব ছাড়াও DYFI-এর নেতা কলতান দাশগুপ্ত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছিল। কিন্তু মমতার বিরুদ্ধে লড়তে শ্রীজীবকেই বেছে নেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ ও ভবানীপুরের কোন ক্লাব টাকা পায়নি! কমিশনের প্রশ্ন মাত্রই জবাব নবান্নের
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস যেহেতু বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার হয়ে লড়েছিল, তাই উপনির্বাচনেও কংগ্রেসকেই সুযোগ দিয়েছিল বামেরা। কিন্তু প্রথমে প্রার্থী দেওয়ার কথা বললেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কংগ্রেস। এরপর নিজেরাই প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করে বামেরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, ভবানীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়ে বিজেপি-র সুবিধে না করে দেওয়ার জন্যই কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন অধীর৷ এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চার প্রচারেও থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ এরপরই নিজেদের প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিল বামেরা।