যদি মামলার রায় বিপক্ষে যায় তবে পুরো টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এখনই ববিতা সরকারের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না আদালত, মামলার চূড়ান্ত শুনানির পর হবে সিদ্ধান্ত, জানালো হাইকোর্ট। পাশাপাশি সংরক্ষিত তালিকার পরীক্ষার্থীদের জন্য সরকারের নিয়মই মানেনি এসএসসি,চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মামলায়।
সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ৫% অতিরিক্ত নম্বর অ্যাকাডেমিকে (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং প্রশিক্ষণে) দেওয়ার কথা এসএসসি নিয়ম অনুযায়ী। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেনির নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নিয়ম মানেনি এসএসসি। সেই নিয়ম মানা হয়নি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এই নিয়মে ববিতা সরকার এবং অনামিকা রায় উভয়েরই সর্বমোট নাম্বার হচ্ছে ৭৯। আদালতে দাবি, ববিতা সরকারের।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৫ টুকরো দেহের হাড় ও চুল উদ্ধারের পর DNA পরীক্ষার রিপোর্ট এল, সবই শ্রদ্ধার দেহাংশ
আরও পড়ুন: ব্যবহার তো করেন, কন্ডোমের বাংলা নাম কি জানেন? মনেই করতে পারছেন না অধিকাংশ মানুষ
সিনিয়রটির নিরিখে চাকরি দাবিদার ববিতারই, দাবি তাঁর আইনজীবীর। কোনও সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীর জন্যই ৫% অতিরিক্ত মার্কস দেওয়া হয়নি, পাল্টা জানায় এসএসসি। এই নিয়ে ৯ জানুয়ারি মধ্যে হলফনামা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত হলফনামা দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে। ৫% অতিরিক্ত মার্কস দেওয়া নিয়ে হলফনামা দিতে নির্দেশ।
ববিতা নন, চাকরির প্রকৃত দাবিদার তিনিই, এই দাবি নিয়ে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্থ হন অনামিকা রায়। অনামিকার দাবি, ফর্ম পূরণের সময় ববিতা লিখেছিলেন যে তিনি স্নাতক স্তরে ৮০০ র মধ্যে ৪৪০ পেয়েছেন, এবং শতাংশের হিসাবে ৬০ শতাংশ পেয়েছেন। যদি হিসাব করে দেখা যাচ্ছে যে শতাংশের হিসাবে এটি ৬০ শতাংশের কম।
অনামিকার আরও দাবি, কেউ যদি ৬০ শতাংশ বা তার বেশি পান তাহলে তিনি ৮ নম্বর পাবেন, আর কেউ যদি ৪৫ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পান তাহলে তিনি ৬ নম্বর পাবেন। তাহলে হিসাব অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রের ববিতার প্রাপ্য নম্বর ৩৩ এর পরিবর্তে ৩১ হওয়া উচিত। এবং মোট নম্বরও ৭৭ এর পরিবর্তে ৭৫ হওয়া উচিত। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।