কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর মমতা বললেন, “এই জয় আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের সকলকে একসাথে চলতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে পাশে আছি আমরাই।” এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেশ ত্রিপাঠি, অসীমা পাত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বোস, সুব্রত বক্সী, মলয় ঘটক, অনুব্রত মণ্ডল, বীরবাহা হাঁসদা, বুলুচিক বরাইক, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ ভৌমিক, সুস্মিতা দেব, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, গৌতম দেব।
advertisement
জাতীয় কর্মসমিতির চেয়ারপারসন তিনি নির্বাচনের ফলের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা। বললেন, “মানুষের পাশে আছি,আস্থা আছে। নতুন সংযোজন হল বিমান বন্দোপাধ্যায়,মালা রায়,কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, মানস ভুইয়া,জাভেদ খান।” মমতা এর পরেই মনে করিয়ে দেন দীর্ঘ পথ চলার গল্প।
মমতার কথায়, “হঠাৎ করে দল তৈরি হয়নি। ১৯৯৮ সালে কেন হয়েছিল। সেটা সকলকে জানতে হবে। তাই সকলের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। তিনটি ডিসিপ্লিনারি কমিটি হল। সংসদে, বিধানসভায়,দলে। সংসদে আছেন সুদীপ, ডেরেক, কাকলি, কল্যাণ, নাদিমুল হক। দল বিরোধী কাজে শোকজ করা হলে,তার উত্তর দিতে হবে। পরপর তিনটে শোকজ হলে সাসপেন্ড।
দলীয় সুব্রত ,অরুপ, ফিরহাদ, সুজিত, চন্দ্রিমা। বিধানসভায় শোভনদেব, নির্মল, অরুপ, ফিরহাদ, দেবাশিষ কুমার। মুখপাত্র – কো-অর্ডিনেট করবেন অরুপ বিশ্বাস।
দিল্লিতে বলবেন অভিষেক, ডেরেক, কাকলি, কীর্তি আজাদ ,সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ। মুখপাত্র -অমিত মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
শিল্প – শশী পাঁজা, পার্থ ভৌমিক
উত্তরবঙ্গ- গৌতম দেব, প্রকাশ চিক বরাইক, উদয়ন গুহ।
চা-বাগান – মলয় ঘটক
ঝাড়গ্রাম – বীরবাহা হাঁসদা
এছাড়া কুণাল ঘোষ, মানস ভুইয়া, শোভনদেব চ্যাটার্জি, চন্দ্রিমা, শশী, সুমন কাঞ্জিলাল বাংলার সার্বিক ভাবে বলবেন। জেলায় জেলায় দলের ইতিহাস নিয়ে কর্মসূচী থাকবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মহিলাদের প্রতি নির্যাতন রুখতে অপরাজিতা বিল পাশ হলেও,আইন এখনও হয়নি। এই আইন অত্যন্ত প্রয়োজন। এর জন্য ৩০ নভেম্বর মহিলা সংগঠন ব্লকে ব্লকে অপরাজিতা বিলের আইন চেয়ে মিছিল। এর পরের দিন জায়গায় জায়গায় অবস্থান, ধরণা, মিটিং।
আরও পড়ুন- শীতে ব্র্যান্ডি-রাম খেলে কি সত্যিই সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে? জেনে নিন চিকিৎসকরা কী বলছেন
১০ ডিসেম্বর পর রাষ্ট্রপতির কাছে ১৫ জনের ডেলিগেশন যাবে ৫ জন বিধায়ক, ১০ জন সাংসদ থাকবেন। মানুষের সাথে মানুষের পাশে বলে আর একটা কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে। সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মূল্যবৃদ্ধি, বেরোজগার, আবাস যোজনা, একশ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, সারের দাম নিয়ে কথা বলবেন। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে ডামাডোল চলছে। তা নিয়েও সংসদে আলোচনা চাওয়া হবে। কোয়েশ্চেন আওয়ার চাওয়া হবে। অযথা হইচই নয়।
অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস হিসাবে ইসি’তে আমাদের রেজিষ্ট্রেশন আছে। তাই প্রদেশ ভিত্তিক ইউনিট থাকবে। রদবদল যখন হবার হবে। মমতা জানান, আজ রদবদলের বৈঠক নয়।
মানুষের সাথে মানুষের পাশে বলে আর একটা কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে। সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মূল্যবৃদ্ধি, বেরোজগার, আবাস যোজনা, একশ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, সারের দাম নিয়ে কথা বলবেন।
দলীয় শৃঙ্খলায় জোর তৃণমূলের। একের বদলে তিন শৃঙ্খলারক্ষাকমিটি। শো-কজ নিয়ে এবার কড় হল শাসক দল। ছাড় পাবেন না কেউই। তিন শো-কজে জবাবে অসন্তুষ্ট হলেই সাসপেন্ডের বিধান।
আরও পড়ুন- বিয়ের ৪ বছরেও শারীরিক সম্পর্ক হয়নি! স্বামীর মোবাইলে ছবি দেখে মাথায় হাত স্ত্রীর!
মাদারিহাট জয়। গুরুত্ব বাড়ছে উত্তরবঙ্গের নেতাদের। উত্তরবঙ্গের জন্য আলাদা মুখপাত্র। চা বাগান নিয়ে প্রচারে বিশেষ দায়িত্বে মলয় ঘটক।
বিধানসভার কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই ময়দানে তৃণমূল। নেওয়া হল একাধিক কর্মসূচী। যুবদের কাছে টানতে জেলায় জেলায় শোনানো হবে দলের ইতিহাস।
মহিলা সংগঠনে বিশেষ জোর তৃণমূলের। মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এবার অপরাজিতা আইন দ্রুত গঠনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ প্রার্থনা।