রোম সফরের অনুমতি না দিয়ে বিদেশমন্ত্রক এক লাইনের চিঠিতে জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি মুখ্যমন্ত্রী পদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিদেশমন্ত্রকের এই চিঠিটি নবান্নে এসেছে শুক্রবার মধ্যরাতে।
ইতালির একটি বেসরকারি সংগঠন আন্তর্জাতিক শান্তি বৈঠক আয়োজন করেছিল। ঠিক ছিল ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ফলাফল জেনেই রওনা হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকে আর্জি জানানো হয়, এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু বলা হয়, এই মঞ্চ সংগতিপূর্ণ নয়। নবান্নকে পাঠানো এই চিঠি স্রেফ এক লাইনের। কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি, কেন এই মঞ্চকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তা বিশদে বলেনি কেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন-লক্ষ্য দেশের সার্বিক সমৃদ্ধি, প্রথম সম্মেলনেই সহকারিতা মন্ত্রকের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ
স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যে অনুষ্ঠানে অ্যাঞ্জেলা মর্কেল যেতে পারেন, পোপ ফ্রান্সিস যেতে পারেন, তা কেন সামঞ্জস্যরপূর্ণ নয়, এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।
তৃণমূলের মত, বিজেপি সরকার ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে এই পদক্ষেপ করেছে। অন্য দিকে বিজেপির মত, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চের বক্তব্যকে যখন সুকৌশলে বিচ্ছিন্নবাদীরা ব্যবহার করছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী কোনও মঞ্চে উঠলে তাঁর বক্তব্য সেন্সরও করা যাবে না, আবার বিদেশনীতি নিয়েও ঝুঁকি হতে পারে। তৃণমূল আবার বলছে এই যুক্তি কোনও ভাবেই ধোপে টিকবে না।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর নিয়ে প্রবল আগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউরোপ সফরে গিয়ে কী বলেন, তা শুনতে মুখিয়েই ছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু সেই সফরই বাতিল করে দিল কেন্দ্র। যুক্তিতে যে অসামঞ্জস্যের কথা আছে, তাকে ব্যখ্যা করার দায় কেন্দ্র নেয়নি। যে সংগঠন অর্ধশতাব্দীর বেশি বিভিন্ন সামাজিক পরিসরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে আসছে তা কোন যুক্তিতে মানানসই নয়, সে প্রশ্ন থাকছেই। কেউ আবার বলছেন, ঘুরিয়ে তৃণমূলের হাতে অস্ত্রই তুলে দিল কেন্দ্র।
সুব্রত মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন, "অত্যন্ত অনৈতিক কাজ। এরকম করা যায় নাকি! একজন মুখ্যমন্ত্রী, তিনি দেশের একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একটা প্রেস্টিজিয়াস পুরষ্কার নিতে যাচ্ছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হল। এটা চলতে পারে না।"