সকাল সাড়ে ৯টায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ আউটপোস্টে খবর পৌঁছতে কেন চল্লিশ মিনিট সময় লাগল এবং ওই সময়ের মধ্যে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কিছু ঘটেছিল কি না, আপাতত সেই রহস্যেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা৷
আরও পড়ুন: মত্ত অবস্থায় বেসামাল সিভিক, উত্তপ্ত সিঁথির মোড়! রাতভর বিক্ষোভ-অবরোধ, ঘেরাও পুলিশ
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালের চারতলার ওই সেমিনার রুমে প্রথম বর্ষের এক পিজিটি পড়ুয়া সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ওই নির্যাতিতার দেহ প্রথম বার দেখেছিলেন৷ সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই তিনি একথা জানিয়েছেন৷ কলকাতা পুলিশকেও একই বয়ান দিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই সময় চেস্ট মেডিসিন বিভাগে কর্তব্যরত যাঁরা ছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদেরকে গিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার কথা বলেছিলেন তিনি৷
তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এর পরেও কেন পুলিশ আউটপোস্টে খবর পৌঁছতে চল্লিশ মিনিট সময় লাগল? এই চল্লিশ মিনিটে কী হয়েছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন তদন্তকারীরা৷ ওই চল্লিশ মিনিটে হাসপাতাল থেকে কাদের কাছে ফোন গিয়েছিল, সেমিনার রুমে কারা কারা ঢুকেছিল, এই ধরনের প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা৷
আরজি করে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর সেমিনার রুমের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে৷ উঠেছে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ৷ যদিও সেই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে কলকাতা পুলিশ৷ কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়নি বলেও দাবি করেছে পুলিশ৷ সিবিআই-এর তদন্তকারীরা অবশ্য চল্লিশ মিনিটের রহস্যভেদ করতেই মরিয়া৷
