বালিতে জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তপন দত্তকে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দত্তের। হাইকোর্টের নির্দেশে এগারো বছর পর সিবিআইকে তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হয়। বালির তপন দত্ত খুনের তদন্তে নেমে সিবিআই কিছু দিন আগে সিআইডির থেকে এফআইআর-এর কপি চায়।
আরও পড়ুন: ২৪-এ রাজ্যে ২৫ আসনে জয়ের দাবি সুকান্তর, কান ধরে ওঠবসের চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের
advertisement
এরপর সিআইডি থেকে এফআইআর পেয়ে সিবিআই এফআইআর করল। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ মে বালি এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। এলাকায় জলাভূমি ভরাট বন্ধের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালানোয় প্রোমোটারদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তপন দত্তকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ২০১১ সালে সেই ঘটনার তদন্ত ভার নেয় সিআইডি। ২০১১ সালে অগাস্ট মাসে সিআইডি চার্জেশিটে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বর্তমানে মন্ত্রী অরূপ রায় সহ মোট ১৩ জনের নাম ছিল।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর আত্মহত্যা, শেষমেশ আড়াল থেকে বেরিয়ে এল কাকিমার কারসাজি!
মূল অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক ষষ্ঠী গায়েন, আশিস গায়েন, শ্বেতি বাপি, রমেশ মাহাতো, কার্তিক দাসরা। কিন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁরা সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বেকাসুর খালাস হয়ে যান। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চার্জেশিট থেকে মন্ত্রী অরূপ রায় সহ মোট আট জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। নিহতের স্ত্রীর জবানবন্দিও নেওয়া হয়।
সেই তদন্ত সিআইডি করতে থাকে। কিন্তু অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পাওয়ার পর তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত সিআইডি তদন্তের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করেন। গত ৯ জুন হাইকোর্ট তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্ত নির্দেশ দেন।