নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি উল্লেখ করেন, কোনও টেন্ডার ছাড়া ওএমআর শিট নষ্ট করায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিন্দনীয় অভিপ্রায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। নির্দিষ্ট একটি সংস্থা কে বাছাই করে,তাদের দিয়ে ওএমআর শিটের কাজ করানো অনেক কিছুর সন্দেহ তৈরি করে বলেও নির্দেশ দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন বিচারপতি৷
মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও পর্যবেক্ষণ, ওএমআর শিট ডিজিটাইজ মোডে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা করা উচিত স্ক্যান মোডে। স্ক্যান মোডে সংরক্ষিত থাকলে ওএমআর শিট বদলানো অথবা জালিয়াতি করা যায় না। তথ্য জানার অধিকার আইনে ওএমআর শিট পরীক্ষার্থীরা চাইলে তাঁদের দেওয়া হয়েছে ডিজিটাইজ মোডের ওএমআর শিট। আবার পর্ষদ অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের জানিয়েছে, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়ে গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে না আসায় তা দেওয়া সম্ভব নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শিবসেনা কার? শুনানির সরাসরি সম্প্রচার, ঐতিহাসিক পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের
ওএমআর শিট ডিজিটাইজ মোডে কেন সংরক্ষণ করা হয় এবং কেন নষ্ট করা হয়েছে, সেই মর্মে রিপোর্ট চাওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে। পর্ষদ রিপোর্ট দেয়। পর্ষদের রিপোর্টকে সামনে রেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, "২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিল। তার মধ্যে ১২.৯৫ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। কোন কোন পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে, তা জানাতে ব্যর্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।' শুধু তাই নয়, হাইকোর্টে জমা পড়া রিপোর্টে পর্ষদই স্বীকার করে নিয়েছে, ওএমআর শিট নষ্টের সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না।
রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা অগোছালো, নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে।" রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির বৈঠকে ওএমআর শিট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়৷ যদিও বিশদে কেউ তা জানতেন না৷