সোমবার বিকেলেই SSC নিয়োগ সংক্রান্ত ১৩ আপিল মামলা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এদিন সকালেই জানা যায়, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ নিয়ে চতুর্থ ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি আপিল মামলা থেকে সরে দাঁড়াল। এক্ষেত্রেও অবশ্য ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে সরে দাঁড়াল বিচারপতি বাগচি ডিভিশন বেঞ্চ।
advertisement
ফলে ফের প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যান এসএসসি নজরদারি কমিটির সদস্যরা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা ডেকোরাম মেইনটেইন করুন। যখন তখন মেনশন করতে আসছেন কেন? এর থেকে জুনিয়র আইনজীবীরা কী শিখবে? মেনশনের নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে।" জবাবে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন, ''আমরা কী করব? আমাদের কিছু করার নেই।'' সে সময় প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ''আপনারা সিঙ্গল বেঞ্চে যান।'' আইনজীবী সপ্তাংশু বসু জবাবে বলেন, ''বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক রায়ের জন্য এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।'' প্রধান বিচারপতি তখন বলেন, ''আমি দেখছি।''
আরও পড়ুন: ফের খুনের বদলা আগুন, জ্বলল বাড়ি-গাড়ি! গলসিতে ঠিক ঘটল কী? পুরুষশূন্য গ্রাম
প্রসঙ্গত, এসএসসি গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, এসএসসি নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম এবং সেই প্রেক্ষাপটে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা ১৩ মামলা থেকে প্রথমে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। গত সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী প্রশাসনিক নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দেশের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান।
আরও পড়ুন: বৃহন্নলাদের এ কী কাণ্ড! লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে মারাত্মক ঘটনা, ফুঁসছে যাত্রীরা
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের হাত বাঁধা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লক্ষ্মী টুন্ডা মামলাকারী। ৯৮ চাকরি এসএসসি কোনও নিয়োগ সুপারিশ পত্র ছাড়াই দেওয়ার অভিযোগকে হলফনামা দিয়ে মান্যতা দেয় খোদ এসএসসি, জানাচ্ছেন মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। মেধাতালিকায় না থেকেও ৯০ চাকরি অভিযোগ এবং ৮ মেধাতালিকায় পিছিয়ে থেকে চাকরি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ, প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি জানান,এসএসসি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধান করলে সমস্যা কোথায়? যদি সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ ভুল হয় তাহলে ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেবে। এত তাড়াহুড়োর কী আছে? এসএসসি মামলায় আরও মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন "সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ , ডেকে পাঠিয়েছে। এত তাড়াহুড়োর কী আছে ? ফাইল আসতে দিন, দেখছি।" সোমবার সারাদিনের নিটফল সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের টেবিলে ৪ আধিকারিক।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ফের শুনানি আছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে। সিবিআই সেখানে রিপোর্ট দেবে। সিবিআই যদি রেগুলার কেস করে এফআইআর করার অনুমতি চায়, সেখানেই দেখার একক বেঞ্চ কী সিদ্ধান্ত নেয়।