বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ধর্না করতে বলেছি। তার পরেও কেন চিকিৎসকদের কর্মসূচির কাজ শুরু করতে দিচ্ছে না পুলিশ? রাজ্য সওয়ালে জানায়, ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর বাদ রেখে কর্মসূচি করা হোক। এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এই কর্মসূচি নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ২০০ লোক নিয়ে কর্মসূচি বলা হলেও বেশ লোক হলে কেউ আটকাতে পারবে না। এই কর্মসূচিতে ভিড় কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। না হলে ওয়াই চ্যানেলে কর্মসূচি করা হোক। সেখানে ১ হাজার লোকের জমায়েত হতে পারে। বিচারপতি বলেন, গতকাল আমি কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিলাম। কর্মসূচির জন্য চিকিৎসকরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্যের আপত্তি ঠিক নয়।
advertisement
অন্যদিকে গতকাল আরজি করকাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা সরাসরি তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুললেন। নতুন করে তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের তদন্তে তাঁদের কোনও আস্থা নেই। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তুলেছিলেন আগেই। এবার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।
আবারও তদন্ত চেয়ে আবেদন করলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র জানান, তদন্তে একাধিক সাক্ষ্য নেয়নি সিবিআই। অ্যাসিস্টান্ট সুপারের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এক্সামিন করেনি সিবিআই। তাই হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি । বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দিতে চাযনা হাইকোর্ট। ফারদার ইনভেস্টিগেশন আদালত নজরদারি করতে পারে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। সিবিআই আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, বিচারপ্রক্রিয়ার সমস্ত নথি হাইকোর্টে পেশ করতে পারে সিবিআই। ২৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। বিচারপ্রক্রিয়ার উপর কোনও হস্তক্ষেপ করে এখন কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না হাইকোর্ট, জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।