বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। আলোচনার মূল এজেন্ডা থাকবে—
- সীমান্তবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করা,
- সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে জমি সংক্রান্ত সমস্যা ও তার সমাধান,
- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন কীভাবে কার্যকর করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা।
- আরও পড়ুন—রাতের নীরবতা ভেঙে যাত্রীদের আর্তচিৎকার! ব্রিজ ধসে ট্রেন লাইনচ্যুত! নিহত ৭, আহত ৩০\উপরের বার্থে শুয়ে যাত্রী, একটি ছেলে এসে বলল, ‘বসতে দেবেন, কি দেবেন না?’ এর পর যা হল ট্রেনের কামরায়…!
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমেও রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হবে— কোন কোন ক্ষেত্রে আরও পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
শনিবার রাত ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন অমিত শাহ। বিমানবন্দরেই তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঢাকঢোল সহকারে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়। গাড়ির কনভয় থামিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান শাহ। তাঁর সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে গাড়িতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বিমানবন্দর থেকে অমিত শাহর কনভয় পৌঁছয় বাইপাসের ধারের একটি পাঁচতারা হোটেলে। সেখানে তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাতেই সেই হোটেলেই বসে বিজেপির ঘরোয়া সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, সুনীল বনশাল, মঙ্গল পাণ্ডে ও অমিত মালব্য প্রমুখ।
রাজ্য বিজেপির সাম্প্রতিক সাংগঠনিক দুর্বলতা, উত্তরবঙ্গের উপনির্বাচনে পরাজয়, প্রাক্তন সাংসদ-কাঁটা সমস্যা, বিধায়কদের দলবদলের সম্ভাবনা—এই সব বিষয়ই আলোচনায় স্থান পাবে বলে দলের শীর্ষ সূত্রের খবর। বিশেষ করে রাজ্যের অধিকাংশ মণ্ডলে এখনও সভাপতি নির্বাচন না হওয়ায় সংগঠনে অচলাবস্থার ইঙ্গিত মিলছে।
সব মিলিয়ে, অমিত শাহের এই সফর যেমন রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছে, তেমনই কেন্দ্রীয়-রাজ্য প্রশাসনিক সমন্বয়ের দিক থেকেও তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।