বিজেপি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হবে বৈঠক। বৈঠকে ডাকা হয়েছে বাংলার নেতাদের। বৈঠকে যোগ দিতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ কেন্দ্রীয় নেতারা। স্বাধীনতা দিবসের আগে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কেন জরুরি তলব দিল্লিতে? নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা নাকি রণকৌশল তৈরির তোড়জোড়? বাংলার নেতাদের দিল্লিতে তলব কেন?
advertisement
বাংলার ৯০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনই তৃণমূলের দখলে। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দেওয়াই চ্যালেঞ্জ বঙ্গ বিজেপির কাছে। যদিও, সূত্রের খবর, পদ্ম ব্রিগেডের পাখির চোখ আসলে লোকসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ১৮টি আসন জিতেছিল, চব্বিশে সেগুলি ধরে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরেরই একাংশ সংশয়ে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের একাধিক কড়া বার্তা দিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গোষ্ঠী কোন্দল সরিয়ে একজোট হয়ে কাজ করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপানো-সহ নানান বিষয় আলোচনার সম্ভাবনা বৈঠকে।
আরও পড়ুন : 'একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলছি...', নীতীশ কুমার নিয়ে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর!
সূত্রের খবর, বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই লোকসভার সেমিফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গ ব্রিগেডকে বার্তা দেওয়া হতে পারে, পঞ্চায়েত ভোটে যত বেশি সম্ভব আসনে প্রার্থী দিতে হবে। বঙ্গ বিজেপির সংগঠনকেও ঢেলে সাজানোর বার্তা দেওয়া হতে পারে এই বৈঠকে। পদ্মশিবিরে জল্পনা,বঙ্গ বিজেপির শীর্ষস্তরে রদবদল হতে পারে। দিলীপ ঘোষের শিবিরকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।সংগঠনের বিস্তারে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা বাড়ানো হতে পারে। এমনকী বঙ্গে সংগঠনকে মজবুত করতে প্রয়োজনে ভিনরাজ্যের মডেলকেও কাজে লাগানো হতে পারে। দিল্লির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে তা নিয়েও।
বিজেপিকে তাজা অক্সিজেন জোগাতে পারে কিনা এই বৈঠক সেদিকেই এখন তাকিয়ে সবাই। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বাংলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।