নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত-সহ রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েতে জন্ম শংসাপত্র সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্নে শীর্ষ স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
নতুন নিয়ম কী বলছে?
- জন্ম শংসাপত্র পেতে গেলে, পঞ্চায়েত প্রধান সরাসরি সই করে তা ইস্যু করতে পারবেন না।
- পঞ্চায়েত প্রধানকে ওই আবেদনের অনুমোদন নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিএমওএইচ-এর কাছ থেকে।
- যেই শিশুর নামে সার্টিফিকেট ইস্যু হবে, সেই পরিবার ও শিশুর অস্তিত্ব মাঠে গিয়ে যাচাই করবেন এলাকার আশা কর্মীরা।
- যাচাইয়ের পরে ওই রিপোর্ট জমা পড়বে বিএমওএইচ-এর কাছে।
- বিএমওএইচ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অনলাইনে জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে অনুমোদন দিলেই মিলবে জন্ম শংসাপত্র।
জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে নিরাপত্তা জোরদার
এই পুরো প্রক্রিয়াটি রাজ্যের জন্ম-মৃত্যু পোর্টালের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকবে। যাতে কোনওরকম ভুয়ো আবেদন কিংবা অসত্য তথ্য দিয়ে জন্ম শংসাপত্র না জারি হয়, সেই জন্যই এই সতর্কতা ও যাচাই প্রক্রিয়া।
প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছে, জন্ম শংসাপত্র এখন শুধু পরিচয় প্রমাণ নয়, স্কুলে ভর্তি, সরকারি প্রকল্প, এমনকি আধার বা রেশন কার্ডের সঙ্গে যুক্ত — ফলে এই সার্টিফিকেটের গায়ে “জালিয়াতির ছোঁয়া” রুখতে এই কঠোরতা জরুরি ছিল।