ভবানীপুর ৭৫ পল্লী তার উদ্ভাবনী ধারণা ও উপস্থাপন শৈলির জন্য বরাবরই শহরে একটি নজরকারা পুজো। এছাড়াও কমিটি সারা বছর ধরে যে সামাজিক কাজকর্ম করে থাকে, তাও একটি বাড়তি মাত্রা যোগ করে তাঁদের পুজোয়। তাই ভবানীপুর ৭৫ কোটি নামটি বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম।কয়েক বছর ধরে তাদের পুজো একের পর এক নতুন থিম উপস্থাপিত করে দেশে ও দেশের বাইরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
advertisement
নিজেদের সেই ধারা বজায় রাখতে এবছর এক নতুন চিন্তাধারা নিয়ে এসেছেন তাঁরা। 'ঐতিহ্য বেঁচে থাকুক' অর্থাৎ ঐতিহ্য বাঁচুক যা পুজোর থিমের মাধ্যমে তাঁরা প্রদর্শিত করতে চলেছেন। ৫৮ বছর বয়সি শিল্পী প্রশান্ত পালের সুযোগ্য নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এই থিম।
আরও পড়ুন : মুখের সব ত্রুটি নিমেষে দূর, পুজোয় নিখুঁত সুন্দরী হওয়ার সহজ সাজ-টিপস
আমরা জানি প্রাচীনকাল থেকে বাংলার সংস্কৃতি তার বিভিন্ন চিত্রকলা ও শিল্পকলার মাধ্যমে সব সময় সমৃদ্ধ। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নারী পুরুষ পট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এতে যেমন আর্থিক চাহিদা মিটত, তেমনই সমৃদ্ধ হত বাংলার সংস্কৃতি। ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর পুজো মণ্ডপে নিজেদের কর্মশালা নিয়ে উপস্থিত থাকবেন পটশিল্পী লালন। বাংলা মানে সব ধর্মের পীঠস্থান এই প্রচ্ছন্ন বার্তাই দিচ্ছেন ভবানীপুর ৭৫ পল্লীর উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন : পুত্রবধূর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভাল শাশুড়ি হওয়া অসম্ভব নয়, রইল সহজ সাংসারিক টিপস
ভবানীপুর ৭৫ পল্লী পুজো কমিটির আহ্বায়ক সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন," এটি একটি বড় সম্মান যে ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পটশিল্পের এই বিলুপ্ত প্রায় শিল্প-রূপটি এ বছর আমাদের পুজো উপস্থাপনার মাধ্যমে তার হারানো গৌরব ও খ্যাতি ফিরে পাবে। মেদিনীপুর জেলার পিংলা ও নয়াগ্রাম থেকে পটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা পূজা মন্ডপের পাশে স্টলে তাদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন। তাঁদের যাতায়াত , খাওয়া-দাওয়া এবং থাকার সমস্ত ব্যবস্থা ও খরচ সম্পূর্ণরূপে পুজো কমিটি বহন করবে।"