জানা গিয়েছে, রামেশ্বরম বিস্ফোরণে ধৃত আব্দুল মতিন ত্বহা ও মুলাভির হোসেন সাজিব কলকাতা আসার আগে চেন্নাই গিয়েছিলেন৷ ট্রেনে করেই চেন্নাই থেকে কলকাতা আসেন দু’জনে৷ গত ২৮ মার্চ কলকাতা থেকে হাওড়া যায় ওই দু’জন। তারপরে সেখান থেকে সড়কপথে বাসে দিঘা৷ তদন্তে এখনও পর্যন্ত তেমনটাই সামনে এসেছে বলে দাবি এনআইএ সূত্রের৷
advertisement
এখানেই শেষ নয়৷ প্রথমে কর্ণাটক, তারপরে চেন্নাই, তারপর কলকাতা, দিঘা..পরপর এই ভাবে ডেরা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের সিমও বদলাতে থেকেছে মুসাভিররা৷ জানা গিয়েছে, বিস্ফোরকণ কাণ্ডের পর থেকে কমপক্ষে ১০-১২টি সিম বদলেছিল তারা৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর ঠিকানার আধার কার্ড৷ তবে সমস্ত কার্ডই জাল বলে দাবি এনআইএ-এর৷ আধার কার্ডগুলো বিস্ফোরণের আগেই কর্ণাটকে তৈরি করা হয়েছিল বলে অনুমান৷
ডেরা বদলে প্রথম থেকে বিভিন্ন ভাবে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিলেন আবদুল মথিন ত্বহার স্কুল কলেজের বন্ধু মোজাম্মিল শারিফ। তার সাথে একাধিক বার ফোনে কথা হয় বলে দাবি এনআইএ-এর। বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোনে মোজাম্মিলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়৷ মোজাম্মিলকে গত মাসের ২৬ তারিখ গ্রেফতার করেছে এনআইএ৷
আরও পড়ুন:‘কোনও হিংসা চাই না,’…ভোটের দিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় দিতে হবে রিপোর্ট, বৈঠকে কড়া কমিশন
মার্চ মাসের ১ তারিখ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে যে আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল, তাতে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, এক যুবক কালো রঙের ব্যাগ নিয়ে এসেছিল। মুখে মাস্ক পরা ছিল। ওই যুবক ইডলি অর্ডার করে। খাবার খেয়ে সে বেরিয়ে যায়। টেবিলের নীচে রেখে যায় ব্যাগটি। মিনিট দশেক পরই ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। ঝলসে যান অনেকে।
ওই হামলায় মূল অভিযুক্ত ছিল মুসাভির হুসেন শাহিব ও সহযোগী আবদুল মথিন ত্বহা। বিস্ফোরণের পর থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছিল। অবশেষে তাদের গত শুক্রবার দিঘা গ্রেফতার করে এনআইএ।