মঙ্গলবারই খবর পাওয়া গিয়েছে, খারকিভে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় পড়ুয়ার। আর তাতেই সন্তানদের নিয়ে আরও চিন্তা বেড়েছে ভারতে থাকা মা বাবার। খারকিভের বাঙ্কারে বসে থাকা ডাক্তারির ছাত্র রূপম মণ্ডলের ভিডিও বার্তায় এক হাড়হিম করা পরিস্থিতির কথা উঠে এসেছে। তিনি বলছেন, সত্যি কেউ জানে না, কবে, কী ভাবে মিসাইল হামলায় মৃত্যু হবে। জানে না কে কতটা নিরাপদ (Ukraine In War)।
advertisement
আরও পড়ুন : 'রাত দুটোয়' অধিবেশন ইস্যু! রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে মুখ্যসচিব
বছর কুড়ির রূপম গত বছর ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম থেকে। তিনি বলছেন, খাবার শেষ হয়ে এসেছে। হাতে টাকা নেই। পানীয় জল খুব মেপে খেতে হচ্ছে।এমনকি শৌচালয়ের জলও খেতে হচ্ছে। জানিনা বেঁচে ফিরতে পারব কিনা? বাইরে খুব খারাপ অবস্থা। আমরা সারাক্ষণ বাঙ্কারে আছি। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুরা নানা দুর্ঘটনা এবং আঘাতপ্রাপ্ত এলাকাগুলির ছবি পাঠাচ্ছে। আমরা স্বল্পপরিসরে খুব কষ্টে কাটাচ্ছি।
আরও পড়ুন : কিভ দখলে এগোচ্ছে ৬৪ কিলোমিটার লম্বা রাশিয়ার সেনা কনভয়, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে
বেহালার প্রেরণা ও তাঁর সঙ্গীরা গতকাল রাতে ট্রেন ধরেছেন। ওঁরা হাঙ্গেরি সীমান্তে আজ দুপুরের পরে পৌঁছেও গিয়েছেন। অসম্ভব ঠান্ডা এবং সীমান্তে অপেক্ষার সময়গুলো ওঁদের আতঙ্কে গ্রাস করেছে আরও। রুপমরা ১৫ জন ডাক্তারি পড়ুয়া মিলে মঙ্গলবার খারকিভ থেকে ট্রেনে বসেছেন। ওর কথায়, ট্রেন কোথায় যাবে? তা ওঁরা জানেন না। এক সহপাঠীর মৃত্যু ওদেরকে আরও আতঙ্কিত করেছে। ওরা কোনও ভাবে বেরিয়ে চলে যেতে চান ইউক্রেনের সীমান্ত পেরিয়ে। মনের মধ্যে হতাশা এবং আতঙ্ক পাথরের মতো জমে বসেছে। যদিও ভারত সরকারের উদ্যোগে প্রতিমুহূর্তে সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন দেশ হয়ে ভারতে ফিরছে প্রচুর মানুষ।অচেনা দেশ।কেউ জানে না কি হবে! তবুও হোয়াটসঅ্যাপ কলে বলছেন 'আমরা ফিরবো বলে পথে বেরিয়ে পড়েছি।জানি না কী হবে? এই দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ।'
SHANKU SANTRA