জানা গেছে, বৈদিক ভিলেজে হবে এই তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির। ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট টানা তিনদিনের শিবিরে বিজেপির এই পাঠশালায় থাকবেন রাজ্যের দলীয় সব সাংসদ এবং বিধায়করাও।রাজ্যস্তরের নেতারাও থাকবেন।বিজেপির বিভিন্ন জেলা সংগঠনের শীর্ষনেতাদেরও থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের পাঠশালায় ক্লাস নেবেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। ক্লাস নেবেন অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও।
advertisement
আরও পড়ুন: সম্পত্তির হিসেব দিন, সরকারি অফিসারদের জন্য জারি নির্দেশ! বিরাট সিদ্ধান্ত নবান্নের
বঙ্গে এর আগেও পদ্মফুল শিবিরের এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। তবে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির এই প্রথম। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'প্রশিক্ষণ আমাদের সংগঠনের অন্যতম কাজ। এটা অন্য দলে হয় না। আমাদের প্রতিবছর প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা। করোনার জন্য আমরা প্রশিক্ষণ শিবির করতে পারিনি। কেন্দ্রীয় স্তরের পর রাজ্যস্তরে প্রশিক্ষণ হয়। রাজ্যস্তরে প্রশিক্ষণের পর জেলাস্তরে প্রশিক্ষণ হয়। তারপর মণ্ডল স্তরে প্রশিক্ষণ হয়। সংগঠনের প্রত্যেকটি স্তরেই প্রশিক্ষণ হবে'। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষের ভিন্ন সুর প্রকাশ্যে এসেছে। যা বঙ্গ বিজেপির কাছে অস্বস্তির। এই অবস্থায় বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির।
আরও পড়ুন: এসএসসি কাণ্ডে সুবীরেশের ফ্ল্যাট সিল করল সিবিআই, বড় কোনও প্রমাণ এল হাতে?
সূত্রের খবর, মত বিরোধ মিটিয়ে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন মজবুত করতে হবে, এই নির্দেশই দেওয়া হবে বিজেপির তিন দিনের পাঠশালায়। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বলা হবে মোদি সরকারের প্রকল্পের প্রচার করতে। বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ।জনসংযোগে জোর দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ শিবিরে। বুথস্তরে কীভাবে সংগঠন বাড়ানো যায় তার দাওয়াইও দেওয়া হবে। পাশাপাশি দলের ইতিহাস ও আদর্শের পাঠও দেওয়া হবে। বঙ্গ বিজেপিতে জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই নতুন মুখ।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের আদর্শ ও ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। তাই শিক্ষিত রাজনীতিবিদ গড়ে তোলাই এই শিবিরের মূল লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভাবধারায় চলে বিজেপি। তবে একেবারে সংঘের শিবিরের মত না হলেও তারই অনুকরণে হয় বিজেপির এই ধরনের শিবির। সকাল থেকে রাত টানা ঠাসা কর্মসূচিতে রাজনীতির পাঠ যেমন দেওয়া হয় এমনি বিজেপির আদর্শগত ভাবনার শিক্ষাও এই ধরনের শিবিরে দেওয়া হয় বলে গেরুয়া শিবিরের এক নেতা দাবি করেন।