এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এমবিবিএস-এর পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা মৃত্যুশংসাপত্র দিয়ে আসছেন। ১৯৬১ সালের জাতীয় আইন এবং ১৯৬৩ সালে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বহু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকও মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত শংসাপত্র দেন। কিন্তু অনেক শ্মশান এবং অন্তিম কাজের স্থানে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের দেওয়া শংসাপত্র গ্রহণ করা হয় না বলে অভিযোগ। সে কারণে এই ধরনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছে আয়ূষ মেডিক্যাল অফিসার্স।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সরকার একটা দোষ করলে গালাগালি খাই আমি', হিঙ্গলগঞ্জের সভায় আক্ষেপ মমতার
আরবিএসকে অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সুমিত সুর বলেন, "এটি একটি অত্যন্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি। মৃত্যুর কারণ সংক্রান্ত শংসাপত্র আমরা দিতে পারব কী না, তা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেই বিভ্রান্তি রয়েছে। তার ফল ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ নির্দেশের ফলে সেই বিভ্রান্তি কাটল। এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন অল বেঙ্গল এএমএস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডাঃ পার্থ সরকারও।
সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, “আধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলাকালীন কেউ মারা গেলে বা চিকিৎসা চলাকালীন কারও মেডিক্যাল শংসাপত্র প্রয়োজন হলে তা আয়ুষ চিকিৎসকদের থেকে পাওয়া কাম্য নয়। তা হবে ক্রসপ্যাথির শামিল। বর্তমান সরকার যে ভাবে ক্রসপ্যাথিকে উৎসাহ দিচ্ছে, তা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য ভয়ঙ্কর।’