ইডির পক্ষ থেকে সুব্রত বিশ্বাস নামে এক ব্যাঙ্ককর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল বিভিন্ন সময় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালকের হাত থেকেই টাকা পাঠাতেন। ৬ কোটি টাকা পাঠিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ছিল একাধিক রাইস মিল এবং একাধিক কোম্পানির নামে অ্যাকাউন্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০১৪ থেকে 'খেলা' শুরু, অনুব্রত কন্যার গোপন-প্রাপ্তি! তাজ্জব ইডি, আকাশ থেকে পড়ার জোগাড়
ওই জমা করা টাকা থেকেই সুকন্যা মণ্ডলের নামে তিন কোটি টাকা এফডি করা হয়েছিল। অনুব্রত-কন্যার নামে ২৬টি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, সেই সমস্ত সম্পত্তি ইডির নজরে আগে থেকেই ছিল। একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল ভোলে বোম রাইস মিলের নামেও। এত টাকা কোথা থেকে এল, তার কোনও সদুত্তর জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সুকন্যা দিতে পারেননি বলে দাবি ইডি-র। এরপরই গ্রেফতার করা হয় সুকন্যা মণ্ডলকে।
আরও পড়ুন: মালদহের স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির 'চক্রান্ত'! গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির ৮ মাসের মাথায় গ্রেফতার করা হল অনুব্রত-কন্য়াকে সুকন্যা মন্ডলকে। তিনি নানা ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেরা করে সুকন্যা সম্পর্কে নানা তথ্য় পাওয়া গিয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলার টাকায় বহু জমি কিনেছিলেন অনুব্রত। সেই হিসেব দেখলে হাঁ হয়ে যেতে হয়।