২০১২ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে দেওয়ার পর একটি মিম শেয়ার করেছিলেন তিনি। তারই ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ নম্বর ধারাতে মামলা রুজু হয়েছিল। গ্রেফতার করেছিল পূর্ব যাদবপুর থানা। পরে জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে মামলা প্রক্রিয়া জারি ছিল। তিনি ২০২১ সালে মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেন। পরে জেলা ও দায়রা আদালতে একই আবেদন করা হয়। অবশেষে অব্যাহতি পেলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আরব্য রজনীর মেসি-রোনাল্ডো দ্বৈরথে বিরাট চমক, ভারতকে গর্বিত করে বিশেষ অতিথি বিগ বি!
মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে ফেসবুকে অম্বিকেশ মহাপাত্র লেখেন, ''প্রায় ১১ বছর পর ব্যঙ্গচিত্র-কাণ্ডের ফৌজদারি মামলা থেকে নিষ্কৃতি মিলল। রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শাসক দল এবং দুষ্কৃতীদের শত বেআইনি এবং অসাংবিধানিক বাধা সত্ত্বেও। এই জয় গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকের গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার জয়।''
আরও পড়ুন: অন্তর্বাসের ভেতরে গলানো ওটা কী! কলকাতা এয়ারপোর্টে তুমুল শোরগোল, ধরা পড়ল ২
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়কে নিয়ে একটি কার্টুন প্রকাশের জন্য অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। ২০২১ সালে এই মামলা থেকে মুক্তির আবেদন জানিয়ে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন অম্বিকেশবাবু। তা খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি আবার আবেদন জানান। তাতেই টানা ১১ বছর পর মিলল অব্যাহতি। প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যে ধারায় অম্বিকেশ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সেই ধারাটি অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে অম্বিকেশের বিরুদ্ধেও মামলা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে।