আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
এদিকে রোগীর ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে কলকাতার সরকারি হাসপাতাগুলিকে। শোনা যাচ্ছে, এত শিশু জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছে যে তাদের বেড দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড না থাকায় একটা বেডেই রাখা হচ্ছে দুই থেকে তিনজন বাচ্চা এবং তাদের মায়েদের।
advertisement
সূত্রের খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২০টি সিসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলির প্রতিটিই ভর্তি। হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া ২০টির শিশু অ্যাডিনো পজেটিভ। তাদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, বি সি রায় শিশু হাসপাতাল মোট বেডের সংখ্যা ৫০০। তারমধ্যে আইসোলেশন বেড ৫০টি। সবকটিই ভর্তি। ভেন্টিলেটর যুক্ত বেড রয়েছে ৪৮টি। সেগুলিরও সবকটি ভর্তি। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং কাশি নিয়ে ৯০টির বেশি শিশু ভর্তি।
অন্যদিকে, নতুন করে বেড রাখা হয়েছে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে। সেখানে ২৫টি বেড এখনও চালু করা হয়েছে। দরকারে আরও বাড়ানো হবে জানানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে এই একই সমস্যা। এএমআরআই মুকুন্দপুরে ৬৬ টি শিশু ভর্তি জ্বর- সর্দি-কাশির সমস্যায়। ১০টি সিসিইউ বেডের ৮ টিতেই শিশু ভর্তি রয়েছে। পার্ক স্ট্রিটের ভাগীরথি নেওটিয়াতেও একই সমস্যা। ২১টি বেডের ৭টি এনআইসিইউ। শতকরা ৯০% শিশুই জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি। মনিপাল হসপিটালে ৭টি শিশু ভর্তি। ২টি অ্যাডাল্ট সিসিইউ-কে শিশুদের জন্য কনভার্ট করতে হয়েছে এই পরিস্থিতিতে।
প্রসঙ্গত, বিসি রায় হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, বাঁকুড়া, মালদা মেডিক্যাল কলেজে এবার শিশু চিকিৎসার হাব করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে।