সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক। জলপাইগুড়ি থেকে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ''হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের কাছে শিরোধার্য। সম্পূর্ণ আস্থা ভরসা বিচার ব্যবস্থার উপর রাখি। যেহেতু এটি সাব জুডিস ম্যাটার, তাই বিশেষ কোনো মন্তব্য করতে চাই না। শুধু এটুকু বলব সঠিক বিচার হোক।''
advertisement
অভিষেকের সংযোজন, ''এই তদন্তে তৃণমূল কংগ্রেসের যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় বা প্রমাণিত হয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং ভারতের মাটিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। নজিরবিহীন শাস্তি হওয়া দরকার। যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিচার হোক। বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মানুষ তার ন্যায্য বিচার আগামী দিনে পাবে।''
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। বলেন, ''আমি যখন শহিদ মিনারে মিটিং করেছিলাম তখন বলেছিলাম গত ২২ মাসে পশ্চিমবঙ্গ এমন রাজ্য যেখানে ভোটের লড়াই করতে না পেরে ভারতীয় জনতা পার্টি বিচার ব্যবস্থার এক দুজনকে কাজে লাগিয়ে তেইশটি সিবিআই দিয়েছে। ২২ মাসে ২৩-টি সিবিআই দিয়েছে। ৩ মাসে ৩টি সিবিআই দিয়েছে। ২৪ মাসে ২৬টি সিবিআই দিয়েছে। যখন ঘটনা গুলিকে আমরা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাচ্ছি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তখন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিচ্ছে। আমি সকলকে অনুরোধ করব বিচার ব্যবস্থায় যারা আছেন মানুষ যাতে সঠিক বিচার পায়। সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। বিচারব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা ভরসা রয়েছে। আশা করব, মানুষ সঠিক বিচার পাবে।''
আরও পড়ুন: 'সব' বলে দেবেন অনুব্রত মণ্ডল? ইডির হাতে সুকন্যা-অস্ত্র! নয়া ছক তদন্তকারীদের
শুক্রবারই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতা হাই কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি থেকে সরিয়ে দিলে, তিনি এই মামলায় যে সব রায় দিয়েছেন, তার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।