নয়াদিল্লি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলা আর শুনতে পারবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা অন্য বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইন্টারভিউ সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের রিপোর্ট পড়ার পরই এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা নাকি একটি মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য সওয়াল করে বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কাজের বাধা সরিয়ে কীভাবে কাজ করেছেন। প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমারও সওয়াল করেন, যাতে বিচারপতিকে এভাবে যাতে সরিয়ে দেওয়া না হয়। তাঁর অভিযোগ, একজন সাংসদ জনসভা থেকে হুমকি দিচ্ছে বিচারপতি সম্পর্কে। তুষার মেহেতা বলেন, এই নির্দেশের ভুল বার্তা যাবে। কিন্তু তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা অন্য বিচারপতিকে দেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারের তর্জমা বিচার করেই শুক্রবার ঐতিহাসিক নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: 'সব' বলে দেবেন অনুব্রত মণ্ডল? ইডির হাতে সুকন্যা-অস্ত্র! নয়া ছক তদন্তকারীদের
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেই এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। অর্থাৎ, রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও মামলাই আর শুনতে পারবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বদলে অন্য কোনও বিচারপতিকে সেই মামলাগুলি শুনতে হবে।
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে বিরাট মোড়, বিকাশ মিশ্রকে হেফাজতে পেল না সিবিআই! কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ বিষয়টি কড়া অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে এলেও প্রথমে এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখনই রটে যায় ইস্তফা দিতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পরই এদিন সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের পরই এদিন ঐতিহাসিক নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Justice Abhijit Ganguly, Recruitment Scam, Supreme Court