জেনারেল ডাইরির ভিত্তিতে ED আধিকারিকদের বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর চাইছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ ED র। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ED, এই ১৬ টি ফাইল তদন্তের কোথাও ব্যবহার করবে না তারা। কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়নি। তার পরেও এই হয়রানি। অভিযোগ তুলেছে ED।
advertisement
আবেদনপত্র দাখিল করার অনুমতি দিল আদালত। আজই শুনানি হবে এই আবেদনের। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। রবিবার সন্ধেয় টুইট করে অভিষক জানিয়েছিলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মতো বুধবার ইডি দফতরে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বুধবারই ছিল দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোটের ‘সমন্বয় কমিটি’র প্রথম বৈঠক। কমিটির সদস্য হিসাবে সেই বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু তা হয়নি।
আরও পড়ুন: মহিলার গোপনাঙ্গে ধাতব শব্দ! বনগাঁর সীমান্তে যা উদ্ধার হল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
ঘড়ি ধরে ঠিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ইডির দফতর থেকে বের হন অভিষেক। বলেন, ‘এর আগে নিট ফল ছিল শূন্য। এখন আরও দু’নম্বর কমল। মাইনাস টু। নিট ফল মাইনাস টু। আগামীদিনে ডাকলে আরও মাইনাস হবে। আমায় ডাকলে ধূপগুড়ির ফল বদলাবে না। পঞ্চায়েত ফল বদলাবে না। আগামী দিনে জনসমর্থন বাড়বে আমাদের।’ এবার তাঁর কথায় উঠে আসে ফেলুদা প্রসঙ্গ। অভিষেক বলেন, ‘জটায়ু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিলেন, একই জিনিস আমরা এক ভাবে দেখছি, আর আপনি অন্য ভাবে দেখছেন, সেটা কী করে হয়? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন। পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তার পর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অভিষেকের পাশে ‘India’, শব্দের খেলা তৃণমূল সাংসদের! স্পষ্ট করলেন নিশানা
প্রসঙ্গত, ইডি-র তরফ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে হয়েছে, ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তারা তদন্তের মধ্যে আনবে না। । গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, এক তদন্তকারী অফিসার ওই কম্পিউটারে মেয়ের কলেজের ফর্ম ডাউনলোড করেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরই মধ্যে তদন্তকারী এক অফিসারের গুয়াহাটির অফিসে যোগ দেন। তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। যদিও ইডি অফিসারদের দাবি, ওই ঘটনার সঙ্গে অফিসারের গুয়াহাটি যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ২ বছর আগেই ওই অফিসারের গুয়াহাটি বদলি হয়েছিল। তাঁকে পুনরায় আবার সেই স্থানে পাঠানো হয়। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আসরে নামে কলকাতা পুলিশও। এবার কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি।