ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দায়ভার কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর উচিত তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়া৷ শনিবার এমনই মন্তব্য করেন অভিষেক৷ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন ট্রেনে সংঘর্ষ এড়ানোর প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন৷’’ আশঙ্কাপ্রকাশ করে অভিষেক বলেন, ‘‘যখন রেলে মানুষ ঘুমায়, যদি রাত সাড়ে আটটার পরে হত, তাহলে আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ত।’’ রেলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন অভিষেক৷
advertisement
আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ছাড়াল ১০০০, মৃত্যুমিছিল বঙ্গেরও
প্রসঙ্গত, এই কবচ সিস্টেম থাকলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷
এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা প্রতিদিন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলে, নতুন ভারতের কথা বলে, নতুন সংসদ ভবন তৈরির পেছনে কোটি টাকা খরচ করে তাঁদের কাছে মানুষের জীবনের মূল্য কিছুই নয়।’’
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে বন্দেভারত এক্সপ্রেস নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অভিষেক। বলেন, ‘‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের অবস্থা কী সবাই জানে৷ ৬০ কিমি গতিবেগে ঝড় হলেই বন্দেভারত এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পুরী থেকে হাওড়া ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে পুরী-হাওড়া বন্দেভারত এক্সপ্রেস৷ ঝড়ে ভেঙে যায় বন্দেভারত এক্সপ্রেসের সামনের কাচ, ভেঙে যায় নোস৷ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ৷ ভেঙে যায় প্যান্টোগ্রাফ৷ চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় সেই ট্রেনের যাত্রীদের৷
অভিষেক যখন এই কথা বলছেন তখন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে বালেশ্বরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তার আগেই অবশ্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
