পাশাপাশি, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, MGNREGA প্রসঙ্গে, লড়াই জারি থাকবে। অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টি সংসদে আলোচনা করব। MGNREGA নিয়ে আমরা যে লড়াই করেছি, সে সম্পর্কে সবাই অবগত। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এবং পরে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এসএলপি দাখিল করে, যা খারিজ হয়ে যায়। আমরা জনগণের জন্য সংসদে আমাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরব। আদালত বলার পরেও কেন্দ্র এখনও আমাদের টাকা দেয়নি।’’
advertisement
সদ্যই প্রকাশ হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা একটা খসড়া তালিকা, যা প্রকাশিত হয়েছে। এটা চূড়ান্ত তালিকা নয়। ২ মাস ধরে দাবি ও আপত্তির পর্ব চলবে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর সামগ্রিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। …কেন্দ্র এটা ২ বছরে করতে পারত। আপনারা ২ মাসে করছেন। বিএলওদের নিয়োগ করে নির্বাচন কমিশন, তৃণমূল বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়। এটি একটি অপরিকল্পিত এবং ত্রুটিপূর্ণ কাজ।’’
আরও পড়ুন: ‘মানুষের পাশে থাকতে হবে’, খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই ‘নথি’ নিয়ে বড় নির্দেশ মমতার
সিএএ প্রসঙ্গেও তিনি রাজনৈতিক আক্রমণ করেছেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সমাজকে বিভক্ত করায় বিশ্বাস করে। বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন, নিয়মটি তৈরি করতে তাদের ৫ বছর লেগেছে এবং তারা সেই তালিকা প্রকাশ করুক যে ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কতজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে? তারা সেই তালিকা প্রকাশ করুক, বিজেপির কোনও জবাবদিহিতা নেই। যখন অসমে এনআরসি হয়েছিল… কতজনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং তারা বর্তমানে কোথায় আছেন? ভারতের নাগরিকদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে এবং পরে আদালত তাদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে, যদিও তাদের বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। খসড়া তালিকায় আমাদের একজন কাউন্সিলরকে নির্বাচন কমিশন মৃত ঘোষণা করেছে। হুগলির ডানকুনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি একজন জীবিত ব্যক্তি। আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম… তৃণমূল কংগ্রেস তার ভোটের শতাংশ এবং ভাগ বাড়াবে – তারা যা খুশি করুক, এফআইআর করুক…। যদি এটা না হয়, তারা যা চায় আমি তাই করতে প্রস্তুত। যদি আমাদের ভোটের ভাগ বাড়ে, তাহলে বিজেপিকে আমাদের ২ লক্ষ কোটি টাকার আটকে রাখা তহবিল প্রকাশ করতে হবে। তাদের বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে। বিজেপি কি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে? বিজেপিই ভয় পাচ্ছে, তৃণমূল নয়।’’
