উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প হতে চলেছে দেউচা পাঁচামি। মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণার পর জমি দিতে রাজি হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জমিদাতা। তাঁদের মধ্যে বহু মানুষকে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের পর তাঁরা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন। প্রস্তাবিত দেউচা-পাঁচামির কয়লা প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বহু জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নির্দলদের দলে ফেরানো নয়, পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরতেই বড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
আশ্বাস পূরণের কর্মযজ্ঞ যত তীব্র, ততই দুর্বল হয়েছে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার কয়লা প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই দেউচা পাঁচামিতে শুরু হয়ে গিয়েছে সমীক্ষার কাজ। সেই কাজ শুরু করেছে কোল ইন্ডিয়া। প্রথমে পাহাড়ি গ্রামে খননকাজ চলছে। যে কয়লা উঠেছে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কোল ইন্ডিয়ার রাঁচির পরীক্ষাগারে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদিবাসীদের সাথে প্রশাসন ও শাসক দলের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভূমিপুত্ররা তাঁদের খুশি জানাতে সরাসরি হাজির হচ্ছেন ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশে৷
আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, রবিবারের বিরাট ঘটনা! বইয়ের পাতায় কী থাকবে, প্রবল জল্পনা শুরু
সূত্রের খবর, দেউচার পাঁচামির একাধিক আদিবাসী ভাই বোনেরা যেমন থাকবেন৷ তেমনিই বীরভূম থেকে প্রচুর আদিবাসী শিল্পীও আসতে চলেছেন। এই সমাবেশে যোগ দিতে তাদের বিশেষ পোশাক তৈরি হয়েছে। বাসে চেপে তাঁরা ভোরবেলায় চলে এসেছেন ধর্মতলায়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এর মাধ্যমে শিল্পায়নের ভূমিকায় যে আদিবাসীরা খুশি সেই বার্তাও দেওয়া হয়ে গেল। রাজ্যে পঞ্চায়েতে ভোটে আদিবাসী বলয়ে ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ কয়েক মাস পরেই আবার লোকসভা ভোট। তাই এখন থেকেই এই সমাবেশ থেকে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক সঙ্গে আছে এই রাজনৈতিক বার্তা দিতে চায় শাসকদল।
আবীর ঘোষাল