ফলে ৬৮ ও ৭২ এই দুই ওয়ার্ডে গোঁজ প্রার্থী থাকছেই। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায়। তিনি লড়াই করছেন ৭২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। যা ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। বর্ষীয়ান এই নেতাকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমার, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্ররা। কিন্তু তিনি সকলের কথাই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাকে বোঝাতে পাঠানো হয়েছিল ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অরুপ চক্রবর্তীকেও। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সচ্চিদানন্দ বাবুর ছোট জামাই। কিন্তু জামাইয়ের কথাও শোনেননি তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেকের সুচারু পরিকল্পনা, এবার পুরভোটে যে স্ট্র্যাটেজিতে 'খেলবে' তৃণমূল...
খানিকটা অভিমানী সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শেষ বারের জন্যে তার এই ভোটে লড়াই করা। তিনি এই লড়াইটা লড়তে চান। অন্যদিকে শনিবারই দলের তরফে বলা হয়েছে, দল প্রার্থী ঠিক করেছে। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। যারা এই সিদ্ধান্ত মানছে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ''আমি দলের কেউ নই তো। আমাকে শাস্তি বা বহিষ্কার করবে কীভাবে। আমি আমার মতোই আছি। আমার মতোই লড়ব।''
আরও পড়ুন: ২৬ বছরের 'প্রাপ্তি' এবার থাকবে তো? পুরভোটের আগে অঙ্ক কষছে BJP
অপরজন বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে লড়বেন জোড়া পাতা নিয়েই। পুরভোটে প্রার্থী তালিকায় গত ২৬ তারিখ তার নাম ঘোষিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তী সময়ে তাতে বদল আসে। ওই ওয়ার্ডে দলের তরফে প্রার্থী করা হয় তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের বদলে সুদর্শনা ভট্টাচার্যকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোনকেও বুঝিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা। কিন্তু তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তাই জোড়া ফুলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে জোড়া পাতা নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি নিয়েই লড়াই করছেন। পৌছে যাচ্ছেন ঘরে ঘরে। তিনিও অনড়, তিনি প্রত্যাহার করবেন না প্রার্থী পদ। দলের সিদ্ধান্ত কথা শুনেছেন তবে তাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তিনি। ফলে আসন্ন পুর ভোটে দক্ষিণ কলকাতার দুই বিধানসভার দুই হাই প্রোফাইল ওয়ার্ডে নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের। ফুল বনাম পাতা যেখানে সামিল।