চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা? বড় সিদ্ধান্ত সংসদের!
স্কুলের প্রধান শিক্ষক রোশন কুমার মাল জানালেন, “চাকরি হারানো সত্ত্বেও শিক্ষকরা স্কুলে আসছেন বলেই এখন স্কুল চালানো সম্ভব হচ্ছে। না হলে আগামী দিনে বড় সমস্যায় পড়তে হত। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে আমার স্কুলের শিক্ষকরাও ছিলেন। আজ ৮ জন এসেছেন, বাকি ৪ জন খাতা জমা দিতে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বোর্ডের তরফে কোনও লিখিত নির্দেশ না এলেও শিক্ষকরা নিঃস্বার্থভাবে আসছেন। আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে অনুরোধ করছি—দয়া করে স্কুলগুলিকে বাঁচান।”
advertisement
গরমে সাপের উপদ্রব বাড়ছে! ঘরে সাপ ঢুকলে ভয় না পেয়ে কী করবেন? কোন গন্ধে জব্দ সাপ? জেনে নিন
চাকরি হারা শিক্ষক সৌরভ কুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলার আগে থেকেই আমরা আসছিলাম স্কুলে। এখন মুখ্যমন্ত্রী ভলেন্টিয়ারি সার্ভিসে আসতে বলার পরও আমরা আছি। তবে আমাদের মাইনে যেন বন্ধ না হয়। আমরা কী ভাবে সংসার চালাব?” তাঁর আর্জি, “আমরা যেহেতু সম্মানের সঙ্গে কাজ করেছি, সেই সম্মান যেন ফেরত পাই। যে দোষ করেছে, তাকেই শাস্তি দেওয়া হোক।”
একইভাবে দেবদত্তা বৈদ্য জানান, “ছাত্রদের ভালোবেসে আমি পড়াতে আসছি। মুখ্যমন্ত্রী আছেন, এটা শুনে ভাল লেগেছে। এটা আমাদের কাছে একটা ইতিবাচক বার্তা।”
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই নিঃস্বার্থ উপস্থিতিই শিক্ষার ভবিষ্যৎকে বাঁচিয়ে রেখেছে।