কখনও প্রয়োজনীয় ওষুধ, সেলাইন দিয়ে মরণাপন্ন রোগীদের বাঁচিয়ে তুলেন চিকিৎসক, নার্সরা। হয়তএটাই তাদের ডিউটি। কিন্তু এই ডিউটির পাশাপাশি এক নার্স যা করলেন জানলে অবাক হবেন। ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের নার্স অর্পিতা পাল। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি যুক্ত এই পেশার সঙ্গে। স্কুল জীবন শেষ করার পর তিনি বহুবার বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান করেছেন। তবে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি যা করলেন তা হয়তসকলের পক্ষে ভেবে দেখা সম্ভব নয়। বেশ কয়েকদিন ধরে শারীরিক নানান অসুস্থতা নিয়ে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন পূর্ণমী হেমরম নামে বছর ৫৭’র এক মহিলা। ওই মহিলার বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলায়। ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন প্রয়োজন রক্তের। সেইমতঅসুস্থ ওই মহিলার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে ছুটে AB+ রক্ত খোঁজার চেষ্টা করেন। তবে তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন হাসপাতালে। তবে রোগীর শারীরিক অসুস্থতার কথা ভেবে তাকে রক্তদানের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তব্যরত নার্স অর্পিতা পাল।
advertisement
আরও পড়ুন : সামান্য নুন ভাতে দিনযাপন, আদিবাসী কন্যার লড়াই চোখে জল আনবে
সোমবার সন্ধ্যায় ডিউটি শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে তিনি ওই মরণাপন্ন রোগীর জন্য রক্তদান করেন। অর্পিতা জানিয়েছেন, নার্সিং পেশায় আসার আগে পড়াশোনার সময় শেখানো হয় মানুষের সেবা করার জন্য। সেটাই প্রতিটি নার্সেরনৈতিক কর্তব্য। তাই যখন ওই মহিলার পরিবারের লোকজন আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন তার ব্লাড গ্রুপ জেনে রক্ত দিই।ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাডিশনাল মেডিকেল সুপার চিকিৎসক ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, তিনি একজনের জীবন বাঁচিয়েছেন এর থেকে আনন্দের কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, অর্পিতা বছরের বিভিন্ন সময় রক্ত দিয়ে থাকেন। চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি সামাজিক ভাবে বিভিন্ন সময়ে নানান সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শুধু নার্সের থেকে চিকিৎসা পরিষেবায় সহায়তা পাওয়া নয়, নার্সের এই মানবিক দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক কর্তব্যবোধকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সকলে।
রঞ্জন চন্দ