গত ১৪ ই মে বেলেবেড়া থানার মালিঞ্চা গ্রামে রাধাকৃষ্ণ বালা (৪৮) কে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার পাশের বাড়ির বাসিন্দা বিভাস বালাকে গ্রেফতার করল। এদিন বুধবার তাকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছিল বেলিয়াবেড়া থানার মালিঞ্চা গ্রামে।
আরও পড়ুন ঃ নির্মীয়মান বাড়ির সামগ্রী চুরির ঘটনায় গ্রেফতার বাবা ও ছেলে
advertisement
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মে মাসে কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে রাধাকৃষ্ণ বালা নিজের বাড়ির ছাদে ঘুমতেন। ১৪ ই মে ঘটনার দিন রাতেও তিনি তার স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে এক তলা পাকা বাড়ির ছাদে খোলা আকাশের নীচে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাধাকৃষ্ণ বালা পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। বাড়ির জমির সবজি বাজারে বিক্রি করতেন। আর সেই জন্য প্রতিদিন ভোর চারটাতে উঠে গোপীবল্লভপুর বাজারে যাতেন।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে পরে মধ্য রাতে বাচ্চাদের ঠান্ডা লেগে যাবে বলে তার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে নীচে নেমে গিয়েছিলেন। ভোর হয়ে গেলেও ওই ব্যক্তি ঘুম থেকে না ওঠায় তার স্ত্রী তাঁকে ডাকতে গিয়ে দেখেছিলেন খাটিয়ার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাধাকৃষ্ণ। স্বামীর এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে উঠেন। তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যান্য লোকজন এবং প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন খাটের উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন ঃ সবে খেতে বসেছে কনে-যাত্রী! হঠাৎ এল ওরা! একী ঘটল বিয়ে বাড়িতে! শিউরে উঠবেন!
এরপর স্থানীয় মানুষজনেরা বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশকে খবর দেন। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, রাধাকৃষ্ণ বালা বেগুন চাষ করেছিলেন। ঘটনার আগের দিন বিকেলে বেগুন তুলে বাড়িতে রেখেছিলেন। পরদিন সকালে গোপীবল্লভপুর বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার কথাছিল।
জানা গিয়েছে নিহত ব্যক্তির বাড়ি পাশে একটি নির্মিয়মান বাড়ি রয়েছে। সেই নির্মেয়মান বাড়ির দেওয়ালে একটি মই দেখা গিয়েছিল। মই ব্যবহার করেই অভিযুক্ত ওই ছাদে উঠে এসে খুন করে বলে পুলিশ মনে করছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত বিভাসের নিহত রাধেকৃষ্ণের উপর রাগ ছিল। নিহত তার বাড়ির ছাদ থেকে নিয়মিত পেচ্ছব করত। আর সেই পেচ্ছাব বিভাসের বাড়িতে গিয়ে পড়ত এবং কখনো তার গায়েও লেগেছে। আর এই নিতে তীব্র আক্রোশ ছিল তার মনে।
আরও পড়ুন ঃ ভোট সেরে বাড়ি ফেরার পথে ভিজে গিয়েছিলেন সিভিক পুলিশ, পরে যা ঘটল লালগড় হতবাক!
এছাড়াও তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদও ছিল। তবে মূলত পেচ্ছাব করার করানে রাগ এতটাই তীব্র ছিল যে ঘটনার দিন রাতে মই নিয়ে রাধাকৃষ্ণের ছাদে উঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
Raju Sing