Viral: সবে খেতে বসেছে কনে-যাত্রী! হঠাৎ এল ওরা! একী ঘটল বিয়ে বাড়িতে! শিউরে উঠবেন!
- Published by:Piya Banerjee
- hyperlocal
- Reported by:RAJU SING
Last Updated:
Viral: কে ডাকল ওদের? বিয়ে বাড়িতে যা ঘটল না দেখলে বিশ্বাস হবে না! ভাইরাল ভিডিও
ঝাড়গ্রাম: বৌভাতের অনুষ্ঠান বাজছে সানাই পরিবারের লোকজন ও কনে যাত্রীরা সবে খেতে বসেছেন। বর-বউ-এর তখনও খাওয়া হয়নি। হঠাৎই মণ্ডপ লাগোয়া বাঁশবাগান থেকে এল অচেনা অতিথির ডাক! ডাক শুনেই আতঙ্ক। এলে কে ডাকল বিয়ে বাড়িতে! প্রাণ বাঁচাতে খাওয়া ছেড়ে মণ্ডপ ছেড়ে দৌড় দিলেন অনেকে। কে সেই অতিথি? একজন নয়! দল বেঁধে আসে ওরা। এক দল হাতি! শনিবার গভীর রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল ঝাড়গ্রাম ব্লকের জোয়ালভাঙ্গা গ্রাম!
ঝাড়গ্রামের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মাম্পি সিংহের সঙ্গে জোয়ালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তন্ময় সিংহয়ের বিয়ে হয়েছে শুক্রবার। শনিবার রাতে ছিল বৌভাত। বাড়ির পাশে বাঁশবাগানের কাছে হয়েছিল মণ্ডপ। শুক্রবার থেকেই জোয়ালভাঙা গ্রামে হাতির উৎপাত শুরু হয়। শুক্রবার রাতে পঞ্চানন মুর্মু নামে এক গ্রামবাসীর মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকে রান্নাঘরে থাকা খাবার খায় হাতি। তছনছ করে দেয় আশপাশ। শনিবার হাতির দলটি ছিল জোয়ালভাঙ্গা সংলগ্ন ভাওদা গ্রামে। তাই আশঙ্কা ছিলই। হাতির দাপাদাপির জন্য কনে যাত্রীদের ঘুরপথে আসতে হয়।
advertisement
advertisement
তন্ময় বলেন, ‘‘হাতি থাকায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের আমরা গিয়ে নিয়ে এসেছি। কনে যাত্রী আসতে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছে।’’ তবে তারপরেও বিভ্রাট আটকানো গেল না। কয়েকটি হাতি বিয়ে বাড়ির মণ্ডপ সংলগ্ন বাঁশবাগানে চলে আসে। সানাইয়ের আওয়াজে প্রথমে তাদের উপস্থিতি বোঝা যায়নি। তবে কিছু পরেই কানে আসে ডাক। মুর্হূতের মধ্যে বদলে যায় পরিস্থিতি। রবিবার গ্রামে যেতে দেখা গেল তন্ময়ের আত্মীয়রা একে একে বাড়ি ছাড়ছেন। সোদপুর থেকে ওই বিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন মলয় সিংহ রায়, সংবেদী সিংহ রায়, মুক্তি সিংহ রায়রা। তাঁরা বললেন, ‘‘৫-৬ বছর অন্তর আমরা এখানে আসি। এবার বিয়ে বাড়িতে কয়েকদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বৌভাতের রাতে হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ল। এত হাতি কোনওদিন দেখিনি। ভয়ে সারা রাত ঘুমোতে পারিনি।
advertisement
তন্ময়ের বাবা তপন সিংহের আক্ষেপ, ‘‘৫০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন। ৬৫ জন কনে যাত্রী-সহ মোট ২৭০ জন খেয়েছেন। বেশিরভাগই হাতির ভয়ে আসতে পারেননি। অনেকে খেতে বসে হাতির ডাক শুনে উঠে গিয়েছেন। প্রচুর খাবার নষ্ট হয়েছে।’’ বরের মা ববিতাও বলেন, ‘‘কনেযাত্রী-সহ পরিবারের লোকজন খাচ্ছিল। হঠাৎই পাশে হাতি চলে আসে। ভাগ্যিস খাবার জায়গায় ঢুকে যায়নি।’’
advertisement

বিয়ে বাড়িতে তেমন ক্ষতি না করলেও জোয়ালভাঙা গ্রামের ছ’টি মাটির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে হাতির দল। দেওয়াল চাপা পড়ে সাইকেল ও বাসনপত্র সহ নানা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা গভীর রাতেই বিষয়টি বন দফতরকে জানান। তারপরে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাঁদরভুলার বিট অফিসার চিত্তরঞ্জন মাইতি ওই গ্রামে আসেন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দুপুর তিনটে নাগাদ ওই গ্রামে আসেন রেঞ্জ অফিসার দেবজ্যোতি ভৌমিক। পৌঁছয় পুলিশ। রেঞ্জ অফিসার গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। রবিবারও ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে ১০৫টি হাতি ছিল। তার মধ্যে জোয়ালভাঙ্গা জঙ্গলে ২০টি ও ভাওদা এলাকায় ১০টি হাতি ছিল।
advertisement
ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামে অনেক হাতি রয়েছে। তারা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এলাকা ছাড়তে চাইছে না। তাই সরানো যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’ হাতির হামলা অব্যাহত ঝাড়গ্রামে।গতকাল রাতে হাতির হামলায় শিমূলডাঙা এলাকায় প্রায় ১০ টি বাড়ি ভাঙচুর করে হাতির দল। হুলাপার্টিও কর্মবিরতী পালন করায় হাতি তাড়ানোও যাচ্ছে না। ফলে চরম সমস্যায় এলাকার মানুষ জন।
advertisement
ভরা বর্ষায় জঙ্গলে খাবারের আকাল। মাঠেও সে রকম কিছু নেই। ধান রোঁয়া চলছে। বুধবার খাবারের সন্ধানে সাত সকালেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ল দলমার দাঁতালের দল।একটা-দুটো নয়, ঘুম থেকে উঠে এতগুলো হাতিকে ঘরের দোরগড়ায় দেখে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঝাড়গ্ৰাম ব্লকের বালিভাষা , মানিকপাড়া, সহ একাধিক এলাকায় তান্ডব চালায় দাঁতাল হাতির দলটি।ছোট বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০-৪০ টি হাতি রয়েছে ওই দলে।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ঘড় ভেঙে ভোরবেলা দাঁতালের দল খাবারের খোঁজে ঝাড়গ্রাম ব্লকের বেশ কিছু গ্ৰাম সন্নিহিত চাষের জমিতে তাণ্ডব চালায়। হাতির তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দাঁতালের দলটিকে গ্রামবাসীরা জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ গ্রামের রাস্তায় রুটমার্চ করার পর অবশেষে দাঁতালের দল জঙ্গলে প্রবেশ করে। প্রায় ২০ বিঘা চাষের জমিতে তছনছ করে দলটি। বনদফতর এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশই বারছে গ্রামবাসী দের।
Raju Sing
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 19, 2023 10:01 PM IST