আরও পড়ুন: করবা চৌথের সকালে হঠাৎ চালনি কেনার ধুম! বাঙালিও সন্ধের চাঁদ দেখে উপোস ভাঙবে
সিকিম বিপর্যয়ের প্রায় এক মাস পরে যাতায়াতকারী সড়ক পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। সেই সময় প্রায় কেউই খেয়াল করেনি জলপাইগুড়ি শহর থেকে সামান্য দূরে পাহাড়পুরের তিস্তার চরে আটকে আছে ৭০-৮০ টি হাতির একটি দল। এই অঞ্চলটি হাতি চলাচলের করিডোর। প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবর মাসে হাতির পাল খাবারের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাড়ি দিয়েছিল তিস্তা নদী পেড়িয়ে। আচমকা তিস্তার চরে চলে আসে সুবিশাল জলরাশি। সঙ্গে ভেসে আসে কাঠ, ঘরবাড়ি, সেনাবাহিনীর ব্যবহারের বিস্ফোরকের পাশাপাশি বহু মৃতদেহ। সেই জলস্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা কাদায় তিস্তার চরের যাবতীয় চাষের জমির ফসল চাপা পড়ে গিয়েছে। এরপর থেকেই তিস্তা নদীর চরে কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় অবস্থান করছে এই বড় হাতির পালটি।
advertisement
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোনরকম খাবার ছাড়াই হাতির দলটি ওখানে অবস্থান করছে। বাধ্য হয়ে শুকনো কাশবন খাচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় যে কোনও সময় এই হাতির দলটি আক্রমণাত্মক হয়ে শহরে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করতে পারে। একদিকে পলি মাটিতে চাপা পড়ে যাওয়া ধানের গাছ অপরদিকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নরম কাদা মাটি। সঙ্গে খাদ্যের অভাব। সব মিলিয়ে বন্য প্রাণীদের কাছে এ যেন এক নতুন পরিস্থিতি। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পরিবেশ মঞ্চের সদস্যেরা। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির যৌথ পরিবেশ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, এতগুলো হাতি প্রায় এক মাস যাবৎ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থান করছে। অথচ সেখানে নেই পর্যাপ্ত খাদ্য। স্বাভাবিকভাবেই যে কোনও মুহূর্তে এই হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে শহরমুখী হতেই পারে। তখন বড় বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করছেন তিনি।
সুরজিৎ দে