আসুন আসল ঘটনা কি তা জেনে নেওয়া যাক। রবিবার বেলা দুটো নাগাদ শিকারপুর চা বাগানের ম্যানেজার সুদীপ ভৌমিকের কাছে একটি ফোন আসে। ফোন করেন নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ রায়। ফোনে তিনি দাবি করে বলেন, আমি বাঁশি বাজিয়ে বৃষ্টি আনতে পারি। প্রত্যেকের মতোই তিনিও এটা অবিশ্বাস করেন। তবে তিনি নাকি এই কথা ইতিহাসে শুনেছেন। তাই একবার নৃপেন্দ্র বাবুকে আমন্ত্রণ করেই দিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন:
সেই মতো রাত আটটা নাগাদ বাগানে পৌছান নৃপেন্দ্র বাবু। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে সাড়ে নয়টা থেকে তিনি সেই বাঁশি বাজানো শুরু করেন। মধ্যরাত পযর্ন্ত তিনি বাঁশি বাজান। কিন্তু অবাক করা কাণ্ড যে, তার বাঁশি বাজানো শেষ হওয়ার পরই আস্তে আস্তে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এবং সোমবার ভোর থেকে বেলাকোবার পাশ্ববর্তী এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ মুশল ধারে বৃষ্টি হয়। সকাল সাতটা পযর্ন্ত এই বৃষ্টি হয়। এবং পরে আবার যেই কে সেই। তীব্র গরম।
আরও পড়ুন:
নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ রায়ের বাড়ি কলকাতার যাদবপুরে। পেশায় তিনি জানান হাইকোর্টের আইনজীবী। গত ২০০৫ সালের এই তারিখে অর্থাৎ ৫ ই জুন তিনি বাঁশি বাজানো শুরু করেন। আর সেই থেকেই তিনি বাঁশির নানা সুরে বৃষ্টি ডেকে আনেন।ব্যাপারটা যে কতটা সত্যি তা আমাদের জানা নেই। তবে তিনি যেভাবে দাবি করে বলেছেন এবং পরে তা দেখিয়েও দিয়েছেন তাতে অনেকেই আবার এটা সত্যি বলে ভাবতে শুরু করেছে। তবে বলাই বাহুল্য ঘটনা সত্যিই হোক কিংবা কাকতলীয় রাতে বাঁশির সুর আর ভোরেই বৃষ্টির ঘটনার কথা শুনতে পেরেই এক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিকারপুরে। এমন ঘটনার কথা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি সায়েন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ড: রাজা রাউত বলেন, সম্পূর্ন বিষয়টিই অযৌতিক, এই মুহুর্তে যখন পরিবেশ সম্পর্কে বিজ্ঞানকে নতুন করে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে সেই সময় এমন দাবি হাস্যকর।
সুরজিৎ দে