ফের পালক জুড়ল শিলিগুড়ির মুকুটে। এবার সেই পালক বাগিয়ে আন শিলিগুড়ি বুদ্ধভারতী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ম্যাজিক বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিল শিলিগুড়ির বুদ্ধভারতী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপ্নেন্দু নন্দী। ১৯৯২ সাল থেকে শিলিগুড়ি শহর তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে গণিত জনপ্রিয়করণের কাজ করে চলেছেন স্বপ্নেন্দুবাবু।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের 'আঙ্কিক কর্ণার'-এর দায়িত্ব দীর্ঘদিন পালন করেছেন তিনি। যেখানে মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের গণিত ভীতি দূর করা। প্রতি বছর ২২ ডিসেম্বর জাতীয় গণিত দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ বিজ্ঞান কেন্দ্র, মাটিগাড়া আয়োজিত অনুষ্ঠানে Mathematics Beyond Books আলোচক হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন স্বপ্নেন্দুবাবু।
advertisement
শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া বুদ্ধভারতী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু নন্দী বলেন, 'তবুও কোথায় একটি শূন্যস্থান ছিল। আজ সত্যিই আপ্লুত হয়েছি যখন Best Innovative Award in Mathematics- এর পুরস্কার, মেডেল ও মানপত্র স্পিডপোষ্টে আমার ঠিকানায় পৌঁছায়। Magic Book of Record-এর পক্ষ থেকে আমাকে পুরস্কৃত করেছে। Best Innovative Award in Mathematics সঙ্গে দিয়েছেন অশোক স্তম্ভ চিহ্নিত স্মারক ও মেডেল।'
তিনি নিউজ ১৮ লোকালের (News 18 Local) সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি জানতাম না পুরস্কার কীভাবে দেওয়া হয়, বা পেতে হয়। ১৯৯২ সালে আমি এনসিইআরটি (NCERT) এর এক অনুষ্ঠানে যাই। সেখানেই আমার পরিচয় হয় অঙ্কের একজন কৃতী মাস্টারমশাই শিলিগুড়ির রাজকিশোর ঘোষ।
তিনি আমায় বলেন বিজ্ঞানমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা। তখন সেই বিজ্ঞানমঞ্চে যুক্ত হয়। সেখানে একটি ম্যাথেমেটিকস কর্নারের (Mathematics Corner) দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাদের। আমরা সেখানে দেখি ছেলেমেয়েদের উৎসাহ ভীষণ বেশি এই বিষয়ে। অঙ্ক যদি খেলার ছলে শেখানো হয়, তাহলে অঙ্কের ভীতি আর থাকে না।'
তিনি নিউজ ১৮ লোকালকে (News 18 Local) বলেন, 'শিলিগুড়িতে বিজ্ঞানকেন্দ্রে আমি শিশুদের ধারাবাহিকভাবে অঙ্ক করাব। কাগজে-কলমে না করে যদি খেলা বা প্র্যাকটিকাল (Practical) পদ্ধতিতে অঙ্কের শিক্ষা দেওয়া যায়, তাহলে সবার মনেই উৎসাহ থাকবে অঙ্ক নিয়ে।
আমার মনে হয় শুধু একটি স্কুলে নয়, স্কুলের বাইরেও একটি ল্যাব (Laboratory) থাকা প্রয়োজন। তাহলে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এসে এখানে শিখতে পারবে। এছাড়াও প্রত্যেকটা স্কুলে এই ল্যাব থাকা উচিত।'
তিনি আমাদের বলেন, 'হঠাৎ অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এক বার্তা পাই যে গোটা দেশ থেকে ১৫১ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপে। সেই ১৫১ জনের মধ্যে আমারও নাম রয়েছে। তাঁরা আমার কাজের কথা এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস (Documents) চেয়ে পাঠালেন।
তারপর এই কাজের জন্য, এই উদ্যোগের জন্য আমায় পুরস্কৃত করা হয়। আমি একটাই বার্তা দিতে চাই, সমস্ত স্কুলে যাতে এভাবে ম্যাথমেটিকস (Mathematics) ল্যাবরেটরি (Laboratory) চালু করা হয়।'
Vaskar Chakraborty