আরও পড়ুন: ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে না আসায় হুগলিতে কাজ গেল মিড ডে মিলের ৯ রাঁধুনির
বিদ্যাসাগরের জীবন সংগ্রামের সঙ্গে হুবহু মিলে যায় এদের জীবন। ঘরে আলো নেই, কেরোসিন কিনতেও অগ্নিমূল্যের জেরে হিমশিম খাওয়া অবস্থা। তাই ভরসা পেট্রল পাম্পের আলো। এই আলোতেই রোজ সন্ধে হলে বই নিয়ে পড়তে বসে যায় আপন তন্ত্রের দুই ছেলে-মেয়ে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে পেট্রল পাম্প লাগোয়া বালাপাড়ায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন আপন তন্ত্র। ছেলে বড়, সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কয়েক মাস আগে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে ছোট মেয়েও। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
advertisement
সংসারে অসীম অনটন থাকলেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে শিক্ষিত করতে চান আপন তন্ত্র। তাই প্রতিদিন সন্ধের অন্ধকার নামলেই পেট্রল পাম্পের এককোণে বসে পড়াশোনা করে দুই ক্ষুদে। আপন তন্ত্রের জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুতের দিন মেটাতে না পেরে তাঁর বাবা নীরেন তন্ত্র একসময় আত্মহত্যা করেছিলেন। এরপর বিদ্যুৎ দফতর থেকে তাঁদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে বাড়িতে আর আলো-পাখা চলে না। সামান্য দিন মুজুরির করে সংসার চালান তিনি। এই অবস্থায় ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে পেট্রল পাম্পের আলোই ভরসা তন্ত্র পরিবারের!
সুরজিৎ দে





