Hooghly News: ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে না আসায় হুগলিতে কাজ গেল মিড ডে মিলের ৯ রাঁধুনির
- Published by:kaustav bhowmick
- news18 bangla
- Reported by:RAHI HALDAR
Last Updated:
ডিএ ধর্মঘটের দিন অন্য অনেকের মতোই স্কুলে না আসায় হুগলিতে বরখাস্ত করা হল মিড ডে মিলের ৯ জন রাঁধুনিকে
হুগলি: রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে না আসায় মিড ডে মিলের ৯ জন রাঁধুনিকে কাজ থেকে ছাঁটাই করল হুগলি গার্লস স্কুল। মঙ্গলবার সকালে কাজে এলে ওই রাঁধুনিদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পরই তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে স্কুলের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে দেখাতে হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকেন ওই রাঁধুনিরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে ছুটে আসে পুলিশ।
গত ১০ অগস্ট ডিএ-এর দাবিতে ধর্মঘট ঠেকেছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। যদি ওই মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা সরকারি কর্মী নন। তাঁরা মাসিক সাম্মানিকের ভিত্তিতে ওই কাজ করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ডিএ ধর্মঘটের দিন রাঁধুনিরা না আসায় স্কুলে আসা ২২ জন পড়ুয়াকে বাইরে থেকে খাবার কিনে দিতে হয়েছে। যদিও ধর্মঘটের দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য বহু শিক্ষিকা স্কুলে আসেননি। কিন্তু সেই তাঁদের নিয়েই গঠিত স্কুল পরিচালন সমিতি ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে না আসার অপরাধে ওই রাঁধুনিদের বরখাস্ত করে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
advertisement
advertisement
মিড ডে মিল ধর্মঘটের দিন স্কুলে না আসা নিয়ে ওই ন জন রাঁধুনিকে প্রথমের শোকজ করেছিল স্কুলের পরিচালন সমিতি। তাঁরা জবাবও দেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি স্কুল পরিচালন সমিতি। এরপরই বৈঠক করে ওই রাঁধুনিদের বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
advertisement
হুগলি গার্লস স্কুলের ওই রাঁধুনিদের অবশ্য অভিযোগ তাঁরা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস ছিলেন স্কুলের পরিচলন সমিতির সভাপতি। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার স্কুল কমিটির সভাপতি করেন সঞ্জনা সরকারকে। বরখাস্ত রাঁধুনিদের দাবি, তাঁরা ঝন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে থাকেন বলেই প্রতিশোধ নিতে সঞ্জনা সরকার তাঁদের কাজ থেকে বরখাস্ত করেছেন। যদিও সঞ্জনা সরকারের দাবি, তিনি একা কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এটা স্কুল কমিটির সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ওই রাঁধুনিদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ওদের বিরুদ্ধে খাবার সরানোর অভিযোগ আছে।
advertisement
হুগলি গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা গার্গী মিত্র বলেন, কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। স্কুল পরিচালন সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি স্বীকার করে নেন ডিএ ধর্মঘটের দিন তিনি নিজেও অনুপস্থিত ছিলেন। এদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, এটা অমানবিক ও স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমনটা দেখিনি। বাম আমল থেকে এই গরিব অসহায় মহিলারা সাম্মানিক ভাতায় রাঁধুনির কাজ করতেন। হঠাৎ তাঁদের এইভাবে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল। একবারও ভাবা হল না কী করে তাঁদের সংসার চলবে।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 01, 2023 7:52 PM IST

