অগত্যা সেই জলই পান করছেন নাগড়াকাটার ধরণিপুর চা বাগানের পানিঘাটা লাইন নামে একটি শ্রমিক মহল্লার ৬০ টি পরিবার। এতে পেটের রোগ সহ জ্বর জ্বারি লেগেই থাকে শিশুদের। অভিযোগ, পঞ্চায়েত-প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সব মিলিয়ে এখন ক্ষোভে ফুঁসছে মালবাজার মহকুমার নাগড়াকাটা ব্লকের গোটা পানিঘাটা এলাকা বাসিন্দারা। ধরণিপুর চা বাগানের ওই এলাকায় পানীয় জলের সংকট নতুন কিছু নয়। তবে এতদিন অন্তত একটি টিউবওয়েল ভালো ছিল। দিন সাতেক যাবৎ সেটিও বিকল হয়ে পড়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দূষণে মুখ ঢেকেছে জলপাইগুড়ির করলা নদী! চিন্তায় পরিবেশপ্রেমীরা
শুরু হয় জলের হাহাকার। স্থানীয় বাসিন্দা ফুলবাবু কর্মকার নামে এক ব্যক্তি নিজের পকেটের টাকা খরচ করে জলের কল বসিয়েছিল। সেই কলও বিগত কিছুদিন ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার জেরে জলের সমস্যায় ভুগছে জলপাইগুড়ির মালবাজারের ধরণি চা বাগানের ৬০টি পরিবারের সদস্যরা। চা বাগানের শ্রমিক জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে এই জলের সমস্যা। এই সমস্যা বহুবার পঞ্চায়েত প্রধান এবং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে জানানোর পরও কোন সুরাহা মেলেনি। পার্শ্ববর্তী দূরত্বে একটি কল রয়েছে সেই কলের জল আয়রন ভর্তি।
আরও পড়ুনঃ সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে ভিনটেজ কার র্যালি, পৌঁছল কলকাতা থেকে ডুয়ার্সে
সেই কারণে পেটের সমস্যা ও বিভিন্ন রকম সমস্যা অবধারিত। সরকারের কাছে অনুরোধ, সরকার যদি একটি জলের কল বসিয়ে দিত তাহলে খুব উপকার হতো। কারণ গ্ৰামের প্রায় ৬০টি পরিবার রয়েছে । সরকারের যদি এই বিষয়টির ওপর একটু নজর দেয় তা হলে উপকার হয়। আপাতত নদীর জল খেয়েই জীবন জীবন যাপন করতে হচ্ছে এলাকার জলের সমস্যা নিয়ে সেখানে নাগরাকাটা ব্লকের সহ সভাপতি ও লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কাজী পান্ডে জানান,এ বিষয়ে নিয়ে আমাদের উপর মহলকে জানানো হবে। অতি দ্রুত তাদের জলের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
Surajit Dey