অভিযোগ, ভোট পর্ব মিটে যেতেই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের এনজেপি এলাকায় সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় জয়দীপ নন্দী ও তার অনুগামীরা। সেই সময় বিমল সাহা, সবিতা সাহা সহ পরিবারের অন্যান্যদের মারধর করে শাসকদলের কর্মীরা বলে অভিযোগ ওই বামকর্মীদের।
এরপর ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে সবাইকে সরিয়ে দেয়। মারধরের ঘটনায় জখম হয় ওই পরিবারের দু'জন। ঘটনার পরই রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার, সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক সহ অন্যান্যরা। শুধু তাই নয়, এদিন ঘটনার প্রতিবাদে এনজেপি থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি দিয়ে জয়দীপ নন্দীর গ্রেফতারির দাবি জানায় সিপিএম। গোটা ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে দার্জিলিং জেলা সিপিআইএম। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
এ প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, "বুথ জ্যাম করে ভোট লুঠ করতে চাইছিল শাসকদল। কিন্তু আমাদের লোকজন সেটাকে প্রতিহত করেছে। ভোট লুঠ করতে দেয়নি। সেজন্য রাতে ওদের উপর হামলা করে জয়দীপ নন্দীরা। আর এসব গৌতম দেবের নির্দেশে হয়েছে।"
জীবেশ সরকার বলেন, "অবিলম্বে জয়দীপ নন্দীকে গ্রেফতার করতে হবে। ভোট পরবর্তী হিংসা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না।"
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা সাহা দাস বলেন, "আচমকা রাতে জয়দীপ নন্দী, দলবল নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার ভাই ও বৌদিকে মারধর করে। বোমাবাজির পর গুলিও চালায়। জয়দীপ নন্দীর স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন। তাতেই এই অবস্থা। কাউন্সিলার হলে তো আরও দৌরাত্ম্য বাড়বে।"
যদিও ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বিষয়ে গৌতম দেব বলেন, "কোনো সন্ত্রাস হয়নি। আমি নিজে খোঁজ নিয়েছি। অশোকবাবুদের এখন কাজ নেই। তাই এসব করে শিরোনামে থাকতে চাইছেন।"