আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে দুর্গাপুরে, পরিস্থিতি সামলাতে মশারি বিলি পুরসভার
কাজ শুরু করেছিলেন সেই ষাটের দশকে। নিজের জানার অপরিসমিক ইচ্ছে থেকেই আজও জঙ্গলেই বসবাস তপন কাঠামের। তবে থেমে নেই গবেষণা। ক্রমাগত চলে নতুনের খোঁজ। জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের আপালচাঁদ বনাঞ্চলের অধীন কাঠামবাড়ি নামের একটি ছোট্ট জনপদ। সামান্য দূরেই বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। সেখানেই তৈরি হয়েছে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্র। সেই কাঠাম বাড়িতেই বসবাস উত্তর পূর্ব ভারত তথা দেশ বিদেশে বসবাসকারী অর্কিড প্রেমীদের কাছের মানুষ তপন কাঠামের।
advertisement
দীর্ঘ সময় বন বিভাগের হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চল, ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতরে অর্কিড সার্ভের কাজ করেছে তপনবাবু। জঙ্গল ঘেরা গ্রামের বাড়ির গাছে আজও সযত্নে লালন পালন করেছেন ২২৫ বছর পর আবিষ্কৃত অ্যকম্পে পাপিলসা জাতীয় দুর্লভ অর্কিড। এই প্রসঙ্গে তপনবাবু জানান, নাগরাকাটায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি গাছের মধ্যে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন সেই অর্কিড। তবে তাঁর অভিযোগ গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজ সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তোলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘ভোরের আলো’-এর অর্কিড এনক্লেভে উত্তরবঙ্গের স্থানীয় কোনও অর্কিড নেই। ভোরের আলোর অর্কিডগুলো মূলত হাইব্রিড অর্কিড বলে জানিয়েছে তপন কাঠাম। তাঁর কথা শুনে হতাশ ভোরের আলোয় আসা পর্যটকরা।
সুরজিৎ দে