TRENDING:

Jalpaiguri News|| স্লেজে চড়ে নয়, ডিসেম্বরের আগেই উপহারের ডালি নিয়ে বাস্তবের রাস্তায় নামলেন সান্তা

Last Updated:

রূপকথার সান্তাক্লজ মানেই স্লেজে করে গভীর রাতে এসে ছোটো ছোটো কচিকাচাদের উপহার দিয়ে যাবে ২৫শে ডিসেম্বরের দিন। এমনটাই জানা সকলের। তবে ডিসেম্বরের আগেই বাস্তবের সান্তাক্লজকে দেখা গেল শহর জলপাইগুড়ির পথে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জলপাইগুড়ি: রূপকথার সান্তাক্লজ মানেই স্লেজে করে গভীর রাতে এসে ছোটো ছোটো কচিকাঁচাদের উপহার দিয়ে যাবে ২৫ ডিসেম্বর। এমনটাই জানা সকলের। তবে ডিসেম্বরের আগেই বাস্তবের সান্তাক্লজকে দেখা গেল জলপাইগুড়ির পথে। গভীর রাতে টোটোয় করে ঘুরে ঘুরে রাস্তার পাড়ে শুয়ে থাকা গরীব মানুষদের কাছে গিয়ে নিশ্চুপে গায়ে কম্বল দিয়ে সুন্দর করে ঢেকে দিয়ে আসছেন।
advertisement

উত্তরবঙ্গে শীত ক্রমশই বাড়ছে। তাই এই শীতের রাতে রাস্তার পাড়ে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর যাতে কোনও কষ্ট না হয় তাই জন্যেই এমন উদ্যোগ। কিন্তু কে এই বাস্তবের সান্তা? তিনি আর কেউ নন। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা নিরঞ্জন হালদার। যাকে শহরবাসী চেনেন হালদার ডাক্তার নামে। ডাক্তার হালদারকেও একটা সময় শীতের রাতে কাঁথা গায়ে দিয়েই রাত কাটাতে হয়েছে। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠায় খুব কাছ থেকেই শীতের রাতের কষ্ট উপভোগ করতে হয়েছিল নিরঞ্জন হালদারকে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ চেয়েছিলেন একটু দেখা, অনুগামীদের হতাশ করলেন মিঠুন, গাড়ি থেকে নামলেনই না

প্রায় ৩২ বছর ধরে জলপাইগুড়ি সরকারি হাসপাতালে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন নিরঞ্জন হালদার। অতীতে কঠোর দরিদ্রতার কথা মনে রেখেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নীরবে প্রতি বছর শীতে গরিব মানুষদের একটু উষ্ণতার ছোঁয়া দিতে কম্বল বিতরণ করে চলেছেন তিনি। এ বছরেও শীত পড়তেই পথে নেমে গিয়েছেন তিনি। শনিবার একটু রাতের দিকে শীতের মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় টোটো নিয়ে ঘুরে ঘুরে কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেল তাঁকে। আত্ম প্রচার বিমুখ এই চিকিৎসকের কথায়, "এ আর এমন কী! অনেকেই এমন কাজ করেন। আমি আমার সাধ্যমত শীতের হাত থেকে গরিব মানুষদের বাঁচাতে কম্বল বিতরণ করছি।"

advertisement

View More

শুধুমাত্র শীত বস্ত্রই নয়, দুর্গা পুজোর আগেও দুঃস্থ শিশু ও কিশোর কিশোরীদের হাতে পুজোর নতুন জামা কাপড় তুলে দেন তিনি। তাঁর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। ডক্টর নিরঞ্জন হালদার জানান, "শীতের রাতে ঠান্ডার হাত থেকে একটু রক্ষা পাবে পথের পাশে শুয়ে থাকা গরিব মানুষগুলো। তারা এই কম্বলটা পেলে একটু খুশি হবে তাই আমার নিজের অর্থ খরচ করে শহরবাসী যেসব গরিব মানুষ রয়েছে তাদের হাতে কম্বল তুলে দিলাম এমন কাজে আরও মানুষের এগিয়ে আসা উচিত, তাহলে দরিদ্র মানুষদের সমস্যা মিটবে।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জলের দরে সস্তা নাকি পকেটে কোপ? ভাইফোঁটায় ইলিশ কিনতে কালঘাম ছুটবে নাকি মধ্যবিত্তের?
আরও দেখুন

সুরজিৎ দে

বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Jalpaiguri News|| স্লেজে চড়ে নয়, ডিসেম্বরের আগেই উপহারের ডালি নিয়ে বাস্তবের রাস্তায় নামলেন সান্তা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল