ফ্যান ছাড়াই চলছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পঠনপাঠন। ফলে, একদিকে যেমন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে অন্যদিকে এই গরমের মধ্যেই ক্লাস করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের । অনেক পড়ুয়া আবার ক্লাস করতে এসে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবার অত্যাধিক এই গরমের কারণে অনেক অভিভাবক তাদের পড়ুয়াদের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন Murshidabad News: একটু বৃষ্টি চাই! ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে বৃষ্টির জন্য দরবার স্থানীয়দের
এমনকি ধূপগুড়ির বহু শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে গরমের জেরে ক্লাস রুমের বাইরে গাছতলায় ক্লাস করাতে দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, অবিভক্ত ধূপগুড়ি ব্লকে প্রায় ১০০ টির মতো শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেরই এই সমস্যা। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি জেলার অন্যান্য শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিরও একই হাল। এক একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকার মতো।যার জেরে, ধূপগুড়ির বারোঘরিয়ার পুচকি, দিলীপ এর মতো তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠান না তাদের বাবা-মা।
আরও পড়ুন Cooch Behar News: গরমের ঠেলায় ATM-র এসিতে সারমেয়! বিপাকে গ্রাহকেরা
প্রথমে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিল, পরবর্তীতে সেগুলি শিক্ষা দফতরের অধিনে চলে যায়।ধূপগুড়ির বেশিরভাগ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ২০১৭-২০১৮ সাল নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয় এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলি নিজেদের উদ্যোগে ফ্যানের ব্যবস্থা করে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হত বিদ্যুৎ দফতর থেকে। কিন্তু বিল দেখে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির দ্বারস্থ হলেও কেউ বিল মেটানোর উদ্যোগ নেয়নি। এরপর করোনাকালে দীর্ঘদিন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেগুলি বন্ধ ছিল।
অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিল না মেটানোয় ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করা হলে, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ মেটানোর জন্য কোনওরকম নির্দেশিকা না আসায় তারা বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারবে না।
আরও পড়ুন West Burdwan News: সরকারি হাসপাতালে শিশু চুরি, হুলুস্থুল কাণ্ড দুর্গাপুরে
ধূপগুড়ির যমপাড়ার পশ্চিম মাগুরমারী শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গরমের মধ্যে ক্লাস রুমের বাইরে ক্লাস চলছে।কারণ জিজ্ঞাসা করতেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষিকা কল্যানী রায় বলেন, "আমাদের বিদ্যালয়ে মোট ১২১ জন ছাত্রছাত্রী, কিন্তু গরমের কারনে আজকে এসেছে মাত্র ২৫ জন। এই কাঠফাটা গরমে ক্লাস রুমের ভিতর ফ্যান নেই, কেমন করে ক্লাস করবে। আমরাই ক্লাসের ভিতর থাকতে পাচ্ছি না শিশুরা তো দূরের কথা। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর ফ্যান না থাকার কারণে, অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের পাঠাচ্ছে না।
গীতশ্রী মুখোপাধ্যায়





