জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার এই প্রসঙ্গে বলেন, "৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের হাম ও রুবেলা ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। কোনও শিশুর আগে থেকে এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও নতুন করে তাকেও আবার টিকা দেওয়া হবে।" ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক শিশুদের ডান হাতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন হয়ে গেলে মার্কার পেন দিয়ে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে দাগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকা নেওয়া শিশুকে একটি করে সার্টিফিকেটও দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্রের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙের সমতলে টিকাকরণ শুরু, পাহাড়ে একমাস পর দেওয়া হবে হাম-রুবেলার ভ্যাকসিন
এই টিকাকরণ নিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার পুরপ্রধান পাপিয়া পাল জানান, জলপাইগুড়িতে সুষ্ঠুভাব এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।" এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির রবীন্দ্রনগর পূর্বাঞ্চল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নিয়োগী জানান, "আজ আমাদের স্কুলে হচ্ছে রুবেলা ও হামের টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই নিয়ে ছেলেমেয়েদের কোনও সমস্যা থাকলে তা অভিভাবকদের আগে জানাতে বলা হয়েছে।" জলপাইগুড়ি জেলায় এই টিকাকরণ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনও অভিযোগ নেই।
সুরজিৎ দে