আরও পড়ুন: কলকাতার মতোই এবার হাওড়ায় চালু বিল্ডিং ট্রাইব্যুনাল
নামে বনমালী হলেও মৃত গাছে নিয়েই তাঁর যাবতীয় কারবার। তাতেই শিল্পের প্রাণ স্থাপন করছেন তিনি। জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা নদীর পাড়ে সেন পাড়ায় বসবাস এই শিল্পীর। তাঁর বাড়িকে গাছের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ কেন্দ্র বললেও ভুল হবে না। দীর্ঘ চার দশক ধরে এই বাড়িতে বসেই তিস্তায় ভেসে আসা মৃত গাছের গুঁড়ি, কাঠ দিয়ে সৃষ্টি করে চলেছেন ঘরের শোভা বর্ধন করে হাজারও জিনিস। যার মধ্যে মরা কাঠ, অথবা গাছের শিকড় খোদাই করে কখনও তৈরি করছেন মানুষের মুখাবয়ব আবার কখনও শুকনো কাঠকে হাতের কেরামতিতে করে তুলছেন লাস্যময়ী নারীর মুখ।
advertisement
তাঁর নাম গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেও মনে যথেষ্ট আক্ষেপ আছে বনমালী সরকারের। তিনি জানান, এই কাটুমকুটুম শিল্প সামগ্রী আমেরিকা, পাকিস্তান থেকে শুরু করে পৃথিবীর বহু দেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু এই দেশে মানুষের কাছে এমন শিল্প সম্ভার তুলে ধরার পরিকাঠামোর যথেষ্ট অভাব আছে। তবে তিনি নিজের উত্তরাধিকার তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নিজের ছেলে বিশ্বজিৎ সরকারকে হাতে ধরে শিখিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পের কলাকৌশল। এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, কাটুমকুটুম শিল্পকর্মের চাহিদা অনেক। তবে এটি সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই এতে ধৈর্য দরকার।
সুরজিৎ দে