স্থানীয় সূত্রে এদিন জানা যায়, মৃতের নাম অজিত কর্মকার। শুক্রবার বিকেলে নিজের বাড়ি থেকে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, অজিত কর্মকারের ওপর দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চালাত মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার ও স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার। এজন্য স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে অজিত কর্মকারকে খুন করা একেবারেই অসম্ভব নয়। এই দিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মৃতার বোন গীতারানী কর্মকার।ভাইকে খুন করার অভিযোগে রাগে ক্ষোভের বশে সকলের সামনেই ভাইঝি অনিন্দিতা কর্মকার ও তার মা অঞ্জলি কর্মকারকে জুতোপেটা করেন তিনি। কিভাবে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে সেজে উঠেছে মায়াপুর ইসকন মন্দির! রইল বিশেষ ভিডিও
অজিত কর্মকার তিস্তা ব্যারেজে গাড়ি চালাতেন এমনটাই স্থানীয় সূত্রে খবর। এখন অবসর নেওয়ার পর বাড়িতেই থাকতেন।এদিকে অজিতবাবুর এক বোন দাবি করেছেন, তার বৌদি ও তার মেয়ে মানসিক ভাবে খানিকটা অসুস্থ ছিল। এমনকি তারা অজিতবাবুকে বাড়িতে আটকে রাখত। অজিত বাবুর উচ্চ রক্তচাপ ছিল। ঘটনার কথা তারা জানতেন না।এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, তিন দিন আগে তারা বোঝেন যে এই বাড়িতে একটা কিছু হয়েছে। কিন্তু কৌতুহল দেখালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অজিতবাবুর পরিবার। এদিন গন্ধ পেয়ে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে যান।তখনই দেখা যায়, দেহটি পচে গলে ফুলে গিয়েছে। তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।
গীতশ্রী মুখার্জি