ফাঁকা জমিতে বীজতলা বানিয়ে সেখানে গোবর সার দিয়ে কিছু দিন ফেলে রাখতে হয়। এরপর সেখানে বেগুনের বীজ ছিটিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করলেই বীজ তলায় চারা উৎপাদন হয়। এরপর সেই চারা জমিতে এমন ভাবে বোনা হয় যাতে প্রতিটি গাছ যেন সূর্যের আলো পায়। গোড়াতে জল জমতে দেওয়া যাবে না। তাই মাঝে মাঝে নর্দমার মতো ড্রেন থাকতে হবে।যাতে বাতাস খেলতে পারে সেদিকেও নজর দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শিশুদিবসের মেনুতে পড়ল ফ্রায়েড রাইস আর মাংস! বেজায় খুশি পড়ুয়ারা
সেজন্য বেগুনের চারাগুলি অন্তত দেড় থেকে দুই হাত ফাঁকে ফাঁকে বুনতে হবে। এতে চার গাছ বাড়তে সুবিধা হয়। যদি গাছ ভালো হয় তাহলে হলে ফলনও আকারে বড় হবে। নিয়মিত জল দিতে পাশাপাশি জমিতে মাটি উঁচু করে দিয়ে আল তৈরি করতে হবে। চারাগাছ লাগানোর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর থেকে ফলন সুন্দরভাবে গজিয়ে উঠবে। গোবর সার এবং কিছু অংশ রাসায়নিক সার ব্যবহার করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ জেলা শিল্প কেন্দ্রে শুরু হল হস্তশিল্প মেলা ও প্রদর্শনী
রামসাই এলাকার এক বেগুন চাষী শহিদুল রহমান জানান, প্রতিবছরই তারা শীতের সময় বেগুন চাষ করেন। প্রায় দু থেকে তিন মাসের মধ্যে তাদের আয়ের পরিমাণ হয়ে দাঁড়ায় প্রায় দু লক্ষ টাকা মতো। মূলত তারা সাদা বেগুনই চাষ করেন। কোনও কারণে বৃষ্টি হলে তাদের একটু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এই বছর তেমনভাবে বৃষ্টি হয়নি। গ্রামের কম বেশি সমস্ত বাড়িতেই এই সময় বেগুন চাষ করা হয়।
Surajit Dey