আরও পড়ুন: কর্মীর অভাবে বন্ধ সরকারি পাঠাগার
জলপাইগুড়ির আকাশে দেখা নেই মেঘের। শরতের আগমনে কোথাও কোথাও কাশ ফুল ফুটলেও চামড়াপোড়া গরমে মানুষের মনে একটুও স্বস্তি নেই। এদিকে অসময়ের এই প্রবল তাপে ব্যপক ক্ষতির সম্ভবনা চা ও ধান চাষে। এই বছর বর্ষার প্রথম দিকে উত্তরবঙ্গে ভাল বৃষ্টি হওয়ায় চাষ ভাল হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই গাছগুলোই শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চা বলয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চলা প্রখর রোদের দাপটে ঝিমিয়ে পড়েছে চা গাছ। ক্রমশই বাড়ছে রোগ-পোকার আক্রমণ।
advertisement
ধান গাছ ভাল ফললেও এখন অস্বাভাবিক উত্তাপের জন্য জমির জল শুকিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে কয়েকদিন পর ধান গাছ শুকোতে শুরু করবে বলে কৃষকদের আশঙ্কা। এদিকে হাসফাঁস করা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। জলপাইগুড়ির মেডিকেল কলেজে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ জানান, যে সব জমিতে জল ধারণ ক্ষমতা কম সেই জমিগুলোয় জল দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। সেইসব জমিতে পার্শ্ববর্তী জলাশয় থেকে জলের ব্যবস্থা করা উচিত। সেইসঙ্গে পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে ইউরিয়া ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি। অপরদিকে অত্যাধিক গরমে বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। ঘরে ঘরে জ্বর ও পেটের অসুখে ঢুকছে মানুষ।
সুরজিৎ দে