উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ মানে স্কুল জীবনের পর্ব শেষ। এ যেন এক ধাক্কায় অনেকটা বড় হয়ে যাওয়া। কারণ এরপর সকলেই কলেজে পা রাখবে। ফলে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তবে মন কেমনও আছে অনেকটা। স্কুল জীবন মানেই অজস্র সুন্দর স্মৃতি নস্টালজিয়া বন্ধুদের সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা উচ্চ মাধ্যমিকের পর যে যার মত নানান দিকে ছিটকে যায় উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকেই হয়তো দূরের কোন কলেজে ভর্তি হবে কেউ পাড়ি দেবে ভীম রাজ্যে আজকাল অনেকেই আবার বিদেশে পড়তে চলে যাচ্ছে ফলে এতগুলো বছর যাদের সঙ্গে কাটানো সেই বন্ধুদের অনেকেরই হয়ত অনেকের সঙ্গে আর কোনদিন সেভাবে দেখা-সাক্ষাৎ হবে না। সেই কথা ভেবে মন খারাপও আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিউ ফরাক্কা স্টেশনে এ কী ঘটল সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে! জানলে অবাক হবেন আপনিও
আর তাই স্মার্টফোনের দৌলাতে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে স্মৃতি সংগ্রহে রাখার তৎপরতা দেখা গেল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরিয়েই অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে ফটাফট সেলফি তুলে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। পরীক্ষা শেষের হাওয়ায় অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া ছিল আবার অন্যরকম। শুধু যে সন্তানরা পরীক্ষা দিয়েছে তা তো নয়, এটা তাঁদের কাছেও যুদ্ধের শামিল ছিল। পরীক্ষা শেষের পর তাই অভিভাবকদের মুখে দেখা গেল স্বস্থির হাসি।
জলপাইগুড়ি জেলায় নির্বিঘ্নেই মিটেছে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনই হাতির হানায় এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর পর কোনরকম ঝুঁকি নেয়নি প্রশাসন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষে গোটা জেলা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ছিল। জঙ্গলপথে ছিল বিশেষ নজরদারি।
ভালোভাবে পরীক্ষার মেটায় খুশি শিক্ষকরা। তাঁরা আগামী দিনের জন্য জেলার প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানান।
সুরজিৎ দে