আরও পড়ুন: বাংলার হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি ও সংস্কৃতি উঠে আসবে মধ্যমগ্রামের কালীপুজোয়
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা এই ছাত্র-ছাত্রীদের তিস্তা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করতে দেখে কৌতুহলী হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তাঁদের শুটিং চলাকালীন নদীর পাড়ে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। সারা বিশ্বের অন্যান্য নদীর সঙ্গে এবার তিস্তা নদীও বিশ্ব দরবারে পৌঁছবে। এর মধ্যে নিজেদের উন্নতির স্বপ্ন দেখছে নদীর পাড়ের বাসিন্দারা। মূলত তিস্তার গতিপথ এবং তার আশেপাশের জীবন-জীবিকা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এই গবেষকদের মূল লক্ষ্য। তবে তিস্তা পাড়ের সংস্কৃতি এবং শিল্প দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সেই সংস্কৃতিকেও তাঁদের তথ্যচিত্রে তুলে ধরতে চান প্যাট্রিক, উইলিয়ামস, সুজিরা।
advertisement
বিদেশি এই শিক্ষানবিশদের সঙ্গে তিস্তার সংস্কৃতিকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে হাত মিলিয়েছে আর্শিনগর ও আরবান লোর সাংস্কৃতিক সংস্থা। তিস্তা পাড়ের লোকসংস্কৃতি নিয়ে কাজ করতে দেখা যায় তাঁদের। এদিন দুই সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে লোক সংস্কৃতির মেল বন্ধনের ছবি চোখে পড়ে। অনুষ্ঠিত হয় একটি কলচারাল ওয়ার্কশপও। তিস্তা নদীকে ঘিরে যেমেচেনির গান বা তিস্তা বুড়ির পালা বিদেশি গবেষকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
সবকিছু দেখে গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য উইলিয়ামস বলেন, আমরা সারা বিশ্ব ঘুরে নদীর অবস্থা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছি। যেটা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানো হবে। উত্তরবঙ্গে এসে আমরা তিস্তার উপর কাজ করছি। অন্য কোনও দেশে একটি নদীকে ঘিরে প্রায় হাজার বছর পুরোনো লোকসংস্কৃতি খুঁজে পাইনি। এটা তাঁদের বিস্মিত করেছে বলে জানান তিনি। তিস্তার লোকসংস্কৃতি বিপন্নতার কথা এভাবেই বিশ্বের দরবারে উঠে আসবে বলে আশা করছে সবাই।
সুরজিৎ দে