২০১৫ সালে ছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর। বর্তমান সময়ে দিন রাত এক করে পুরনো টোটো চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। টোটো চালিয়েই পরিবারের সদস্যদের মুখে দু'বেলা দু'মুঠো অন্নের সংস্থান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল সরকারের জীবন কাহিনী যেন সকলকে অবাক করবে।
আরও পড়ুন : উজ্জ্বল লাল কালো যুগলবন্দিতে জ্যামিতিক নক্সা, দক্ষিণী হ্যান্ডলুম শাড়িতে বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী নির্মলার
advertisement
তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে কষ্ট করেই দিন যাপন করছেন এই মানুষটি। বর্তমান সময়ে দেখা যায় সাধারণত বেশিরভাগ জন প্রতিনিধির আর্থিক অবস্থাই খুব স্বল্প সময়েই ফুলে ফেঁপে উঠে থাকেন। পাশাপাশি পারিবারিক ব্যবসার নিত্য নতুন দিগন্ত খুলে যায় তাঁদের সামনে। সেই সময়ে দাঁড়িয়েও ব্যতিক্রমী সিপিএম দলের এই প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি। জলপাইগুড়ি পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নিখিল বাবু পাঁচ বছর পুরসভার জন্য পরিষেবা দিয়েছেন। কোনও ধরনের দুর্নীতি কিংবা বেআইনি পথে টাকা উপার্জন করেছেন বলে আজও ওঠেনি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ।
আরও পড়ুন : বর কনে দুজনেরই উচ্চতা ৩ ফুট, ভাইরাল নবদম্পতিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিল নেটমাধ্যম
একটা সময়ে ধানের ব্যবসা ছিল তাঁর। কিন্তু, সময়ের পরিহাসে সেই ব্যবসাও নেই বর্তমান সময়ে। তবে জনসেবার নেশার পাশাপশি পরিবারের প্রতি রয়েছে তাঁর দায়বদ্ধতা। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজের পরিবার চালাতে একটি পুরনো টোটো কিনেছেন। এবং যাত্রী পরিবহণ করে নিজের সংসার বাঁচানোর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই কাজে কোন ধরনের লজ্জা বা সন্মান হানি হচ্ছে বলেও মনে করেন না তিনি। বরং নিজের সংসার পালনের পাশাপাশি এই কাজের মাধ্যমে অনেক মানুষেরই উপকার করে থাকেন তিনি। বিনামূল্যে বা কম ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে আজও জনসেবার কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরেছেন।