গত কয়েক দিন ধরেই শক্তিশালী হয়ে সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই উত্তর সিকিম হড়পা বানে বিধ্বস্ত আটক পর্যটকদের উদ্ধারে কাজ করে চলেছে সেনা বাহিনী। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমতলেও দাপট বাড়িয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ জলপাইগুড়িতে ৬২.০৬ মিলিমিটার, বানারহাটে বৃষ্টি হয়েছে ১৬৮ মিলিমিটার, মালবাজারে ১১৮.৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছে৷
advertisement
আরও দেখুন
সমতলে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ইতিমধ্যে তিস্তা, জলঢাকা, লিশ, ঘিস, মতো পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে শনিবার রাত থেকে। জলপাইগুড়িতে অবস্থিত সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে তিস্তা নদীর অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ বিপদ সংকেত বা ইয়েলো অ্যালার্ট জারি হয়েছে৷ দোমোহনিতে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৫.৪৯ মিলিমিটার। জলঢাকা এন এইচ ৩১-এ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮০.৩৪ মিলিমিটার।
আরও পড়ুন – Bizarre: বিয়ের ঠিক কয়েক মিনিট বাকি, মণ্ডপ থেকে টেনে হিঁচড়ে নতুন বউকে তুলে নিল পুলিশ, বর যা করলেন
সমতলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই তিস্তা, জলঢাকা, লিশ, ঘিসের মতো পাহাড়ি নদীগুলোর জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে। বর্ষার বাড়বাড়ন্ত এবং কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের জারি করা হরপা বানের সতর্কতাকে মাথায় রেখে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন যে কোনও বড় বিপর্যয় থেকে সাধারন মানুষকে উদ্ধার করার কাজ দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর ডুবুরি, স্পিড বোট সহ মহড়া চলছে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ী দীঘিতে।
এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা শাসক অশ্বিনী রায় ও মহকুমা শাসক সুদীপ পাল জানান,আমরা যে কোনোও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছি। এর সঙ্গে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়িতে এন ডি আর এফ বাহিনীর জওয়ানেরা প্রস্তুত রয়েছে যে কোনও ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য।অপরদিকে, জলপাইগুড়ি সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর কমান্ডেন্ট তথা সদর মহুকূমা শাসক সুদীপ পাল জানিয়েছেন,এই মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য চারটি স্পীড বোট, কুড়ি জন ডুবুরি সহ বিভিন্ন স্থানে দেশি নৌকো নিয়ে আমরা সদা প্রস্তুত আছি।
Surajit Dey